৭ ঘণ্টা বিলম্বের পর মুক্তি পেল ১৩ ইসরায়েলিসহ ১৭ জিম্মি

 মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের মধ্যে চার জন থাইল্যান্ডের নাগরিক। চার দিনের চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় দ্বিতীয় দিনে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। দ্বিতীয় দফায় এই মুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। তবে কয়েক ঘণ্টার বিলম্বের পর জিম্মিদেরকে মুক্তি দেয় হামাস। সূত্র: আল জাজিরা, টাইমস অব ইসরায়েল।

চার দিনের যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় দিনে এসে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তারা জানায়, চুক্তি না মানার কারণে শনিবার দ্বিতীয় দফায় যেসব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল, তাদের মুক্তির বিষয়টি স্থগিত করে তারা। তবে শনিবার কাতার এবং মিসরের মধ্যস্থতায় বিষয়টি সমাধান করা হয়।  

পরে নির্ধারিত সময়ের সাত ঘণ্টা পর হামাস ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব রেড ক্রসের (আইসিআরসি) কাছে জিম্মিদেরকে হস্তান্তর করে। ইসরায়েল এখন তার কারাগার থেকে ৩৯ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, ১৭ জন বন্দি ইসরায়েলে পৌঁছেছে।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মুক্তি পাওয়া ইসরায়েলি বন্দিদের মধ্যে ছয়জন প্রাপ্তবয়স্ক নারী এবং সাতজন শিশু ও কিশোর রয়েছে। ৫০ দিন হামাসের হাতে আটক থাকার পর তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

গত শুক্রবার ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের চারদিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। বিরতির প্রথমদিন তারা ১৩ ইসরায়েলিসহ ২৪ বন্দিকে মুক্তি দেয়। শনিবার আরও ১৪ জনকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল তাদের। তবে হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসেম বিগ্রেডস শনিবার নতুন ঘোষণায় জানায়, বন্দিদের ফিরিয়ে নিতে হলে গাজার উত্তরাঞ্চলেও ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করতে দিতে হবে।

টাইমস অব ইসরায়েল দাবি করেছে, হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের চুক্তি হয়েছিল প্রতিদিন গাজায় ২০০টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। সেই শর্ত মেনে শনিবার ২০০টি ট্রাক প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া উত্তরাঞ্চলেও পাঠানো হয়েছে ৫০টি ত্রাণবাহী ট্রাক। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news