তৃতীয় দফায় মুক্তি পেলেন আরও ৩৯ ফিলিস্তিনি

 ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন আরও ৩৯ ফিলিস্তিনি বন্দি। হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে হওয়া চারদিনের যুদ্ধবিরতির চুক্তির অংশ হিসেবে তৃতীয় দ্বিতীয় দফায় এই ৩৯ ফিলিস্তিনিকে কারাগার থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।এর আগে তৃতীয় ব্যাচে ১৩ ইসরায়েলিসহ আরও ১৭ বন্দির মুক্তি দেয় হামাস। সোমবার (২৭ নভেম্বর)।

চার দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে বন্দি বিনিময়ের তৃতীয় দিনে ৩৯ ফিলিস্তিনি বন্দির তৃতীয় ব্যাচকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তাদের মুক্তি উপলক্ষ্যে রোববার রাতে অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লায় বিপুল সংখ্যক ফিলিস্তিনি রাস্তায় নেমে আসেন। তারা মুক্তি পাওয়া বন্দিদের বহনকারী রেড ক্রসের বাসের জন্য সেখানে অপেক্ষা করছিল। এসময় কেউ কেউ ফিলিস্তিনের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল হামাস ও ফাতাহ-এর পতাকার পাশাপাশি ফিলিস্তিনি পতাকাও ওড়াচ্ছিলেন।

শাকির মাহাজনা নামে এক ব্যক্তি তার পরিবারের সাথে তার ছেলে ওমরের জন্য রামাল্লায় অপেক্ষা করছিলেন। তার ছেলে ওমরের বয়স সম্প্রতি ১৮ বছরে পড়েছে। শাকির আল জাজিরাকে বলেন, ’ওমরকে যখন গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তখন তার বয়স ছির ১৬ বছর।

নুর আরার নামে এক নারীর ১৭ বছর বয়সী ভাই জায়িদকে গত জুলাইয়ে গ্রেপ্তার হয়েছিল। আল জাজিরাকে তিনি বলেন, ‘অক্টোবরে যা ঘটেছে তারপর আমি আরও ভয় পেয়ে যাই। যুদ্ধের কারণে সবকিছু স্থগিত করা হয়েছিল। বিচারও হয়নি।’ তিনি বলেন, ‘আমরা খুশি, কিন্তু আমরা মিশ্র অনুভূতি অনুভব করছি। গাজায় যা ঘটছে তাতে আমাদের আনন্দ অসম্পূর্ণ।’

রামাল্লা ছাড়াও কাছাকাছি বেইতুনিয়ায়ও কিছু ফিলিস্তিনি জড়ো হয়েছিলেন। সেখানে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিবর্ষণে ১৫, ১৮ এবং ৩৩ বছর বয়সী তিনজন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন বলে প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (পিআরসিএস) জানিয়েছে। পিআরসিএস আরও জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর নিক্ষেপ করা টিয়ার গ্যাসের কারণে ১১ ও ১৩ বছর বয়সী দুটি শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং পরে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এর আগে চারদিনের যুদ্ধবিরতির তৃতীয় দিনে ১৭ জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস। তাদের মধ্যে ১৩ জন ইসরায়েলি। আর বাকি চারজন বিদেশি, তিনজন থাই এবং একজন রাশিয়ান।

 দেড় মাসেরও বেশি সময় যুদ্ধ চলার পর গত শুক্রবার চারদিনের যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে পৌঁছায় হামাস ও ইসরায়েল। সোমবার এই চুক্তির শেষ দিন। ইসরায়েল হুমকি দিয়ে আসছে, যুদ্ধবিরতি শেষ হলেই তারা আবারও গাজায় হামলা চালানো শুরু করবে। তবে কাতারসহ অন্যান্য দেশগুলো বলছে, যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানো হবে। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news