গাজায় যুদ্ধবিরতির খসড়া প্রস্তাবে সাধারণ পরিষদে ভোট মঙ্গলবার
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম ইসরাযেলি হামলায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও হতহাতে ঘটনায় বিশ্বজুড়ে ক্ষোভ বাড়ছে। গত শুক্রবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মার্কিন ভেটোর কারণে ব্যর্থ হয়। এই পরিস্থিতে গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ আবারও উদ্যোগ নিয়েছে।
রোববার কূটনীতিকরা জানিয়েছেন, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন- হামাসের মধ্যে চলমান সংঘর্ষে অবিলম্বে একটি মানবিক যুদ্ধবিরতির দাবিতে ১৯৩ সদস্যের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে মঙ্গলবার একটি খসড়া প্রস্তাবেও ওপর ভোট অনুষ্ঠানের সম্ভাবনা রয়েছে। মিসর ও মৌরতানিয়া ‘শান্তির জন্য ঐক্য’ শীর্ষক ৩৭৭ প্রস্তাবের আলোকে মঙ্গলবার এ অধিবেশন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানায়।
এর আগে গাজায় অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতির জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাবে গত শুক্রবার ভেটো দেয় যুক্তরাষ্ট্র। মূলত এরপরই সাধারণ পরিষদে ভোটাভুটির এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত অক্টোবরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গাজায় অবিলম্বে, টেকসই ও স্থায়ী মানবিক যুদ্ধবিরতির জন্য আনা একটি প্রস্তাব দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে গৃহীত হয়। সেসময় সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ১২১টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে, ১৪টি বিপক্ষে এবং ৪৪টি দেশ ভোট দানে বিরত ছিল। সাধারণ পরিষদের প্রস্তাবে কোন বাধ্যবাধকতা থাকে না।
নিরাপত্তা পরিষদে ব্যর্থ হওয়া প্রস্তাবটি উত্থাপন করেছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত। উপত্যকায় দ্বিতীয় দফা যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি প্রস্তাবটিতে দু’টি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করেছিল আমিরাত। প্রথমত, আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের সব বেসামরিক লোকজনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং দ্বিতীয়ত, অবিলম্বে ও শর্তহীনভাবে সব বন্দিকে মুক্ত করা।
যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে আপত্তি বা ভেটো দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি কঠোর নিন্দা জানান ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। তিনি আরও বলেন, গাজায় ফিলিস্তিনি শিশু, নারী এবং বয়স্ক লোকজনের রক্তপাতের জন্য দখলদার বাহিনীর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রও দায়ী। কারণ তারা বছরের পর বছর ধরে দখলদার শক্তিকে অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়ে আসছে। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি


