গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা: ইসরায়েলের কালক্ষেপণের অপকৌশল 

ফিলিস্তিনের গাজায় বেসামরিক নাগরিক হতাহতের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং নিজেদের সেনাদের হাতে জিম্মি নিহতের ঘটনায় ইসরায়েলের ওপর যুদ্ধবিরতির চাপ আরও বেড়েছে। তবে যুদ্ধবিরতি ও বন্দী বিনিময়ের আলোচনায় কালক্ষেপণের মাধ্যমে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করার কৌশল হিসেবে গ্রহণ করেছে ইসরায়েল। গত মঙ্গলবারও ইসরায়েলি হামলায় গাজায় শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। 

কয়েক দিন আগে গাজায় হামাসের হাতে থাকা তিন জিম্মিকে ‘ভুলে’ গুলি করে হত্যা করে ইসরায়েলের সেনারা। জিম্মিদের হাতে ওই সময় ‘সাদা পতাকা’ ছিল এবং তারা হিব্রু ভাষায় কথা বলছিল। ইসরায়েলি সেনা তদন্তে উঠে আসে এ বিষয়টি। এ ঘটনায় দেশে-বিদেশে চাপে পড়েছে ইসরায়েল সরকার।

এরপর নতুন করে বন্দী বিনিময় ও যুদ্ধবিরতির আলোচনা শুরু করতে ইসরায়েল সম্মত হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান, সিআইএ প্রধান বিল বার্নস এবং  ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান ডেভিড বার্নিয়ার মধ্যে কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে। তবে সমঝোতার শর্ত নিয়ে এখনো ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে কোন মতৈক্য হয়নি। তাই এ আলোচনার মাধ্যমে শিগগিরই চুক্তি হবে এমন কথা বলা যাচ্ছে না জানিয়েছে রয়টার্স।

গত মঙ্গলবার প্যারিসে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অবিলম্বে আরেক দফায় দীর্ঘ মেয়াদে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাথরিন কোলোনা ও যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন।

দোহা ইনস্টিটিউট অব গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজের সহকারী অধ্যাপক তামের কারমোত বলেন, আলোচনার প্রেক্ষাপটে হামাসের হাতে থাকা ইসরায়েলি বন্দীদের মুক্তির ‘একটা সুযোগ’ তৈরি হয়েছে। তবে তিনি মনে করেন, এতে অনেক সময় লাগবে’।

তামের বলেন, গাজায় যুদ্ধ অব্যাহত রাখতে আলোচনায় ইসরায়েলিরা কালক্ষেপণে আগ্রহী। তারা এর মাধ্যমে বন্দীদের পরিবার ও যারা বন্দীদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ করছেন, তাদের বুঝ দিতে চান যে তারা কিছু একটা করছে। এই বিশ্লেষক আরও বলেন, হামাস চায় এখনই যুদ্ধ বন্ধ হোক। অবিলম্বে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহার করে নেওয়া হোক। কেবল এরপরই তারা আলোচনায় বসতে রাজি।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news