গাজা-মিসর সীমান্তের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে চায় ইসরায়েল 

ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। টানা প্রায় তিন মাস ধরে চলা এই হামলায় অবরুদ্ধ উপত্যকাজুড়ে ভয়াবহ মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। এবার গাজা-মিসর সীমান্তের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কাছে নিতে চায় ইসরায়েল। 

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই সীমান্ত নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার তার দেশের অভিলাশের কথা ঘোষণা করেছেন। গাজার ‘অসামরিকীকরণ’ নিশ্চিত করতেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, মিসর তার সীমান্ত এলাকার নিয়ন্ত্রণ ইসরায়েলের ওপর ছেড়ে দিতে রাজি হবে না।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী মধ্য ও দক্ষিণ গাজার গভীরে প্রবেশ করে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে নেতানিয়াহু শনিবার বলেন, ইসরায়েলকে অবশ্যই মিসর-গাজা উপত্যকার সীমান্ত করিডোরের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করতে হবে যাতে ওই অঞ্চলের ‘অসামরিকীকরণ’ নিশ্চিত করা যায়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতাকালে নেতানিয়াহু আরও বলেন, ‘ফিলাডেলফি করিডোর-বা আরও সঠিকভাবে বলতে গেলে, (গাজার) দক্ষিণের ক্লোজিং পয়েন্ট - অবশ্যই আমাদের হাতে থাকতে হবে। এটি অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। এটি স্পষ্ট, অন্য কোনও ব্যবস্থা নিলে আমরা যে নিরস্ত্রীকরণ চাই তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না।’  যদি এই ধরনের কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তাহলে তা ২০০৫ সালে গাজা থেকে ইসরায়েলের সেনাদের প্রত্যাহারের পর প্রথম কোনও বাস্তবিক বড় ধরণের পরিবর্তন ঘটবে।

গাজার এই বাফার জোন সম্পর্কে নেতানিয়াহুর মন্তব্য এমন সময় এসেছে যখন ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ভূখণ্ডটিতে আক্রমণ আরও জোরদার করেছে। প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বরাবরের মতো পুনর্ব্যক্ত করেছেন, চলমান এই ‘যুদ্ধ আরও অনেক মাস ধরে’ চলবে।

গাজার বাসিন্দাদের মতে, আল-বুরেজ, নুসেইরাত, মাগাজি এবং খান ইউনিসে তীব্র যুদ্ধ চলছে এবং লাগাতার বিমান হামলার মধ্যে আহত ফিলিস্তিনিদের হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গাজায় গত ২৪ ঘণ্টায় বোমা হামলায় ১৬৫ জন নিহত এবং ২৫০ জন আহত হয়েছেন।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news