নেতানিয়াহুর বিচারিক সংস্কার উদ্যোগ ইসরায়েলি সুপ্রিম কোর্টে খারিজ

 ইসরায়েলে বিতর্কিত বিচারিক সংস্কার উদ্যোগকে খারিজ করে দিয়েছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। বিতর্কিত এই বিচারিক সংস্কারের পরিকল্পনা গত বছর বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারের বিরুদ্ধে ইসরায়েল জুড়ে বিক্ষোভের সূত্রপাত করেছিল। 

এই সংস্কার পরিকল্পনায় সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা কমানোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। ইসরায়েলের বিচার ব্যবস্থাকে সংশোধন এবং সুপ্রিম কোর্টকে দুর্বল করতে গত বছরের শুরুতেই একটি পরিকল্পনা উন্মোচন করে নেতানিয়াহুর সরকার। এসব সংস্কার বাস্তবায়নে ইসরায়েলের পার্লামেন্টের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের রায়গুলোকে বাতিল করা সহজ হবে।

সমালোচকরা বলছেন, এটি বিচার ব্যবস্থাকে দুর্বল করে দেশের গণতন্ত্রকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। বর্তমান নেতানিয়াহু সরকারকে ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে চরম ডানপন্থি সরকার হিসেবে দেখা হয়।

টানা কয়েক মাসের অভ্যন্তরীণ অশান্তির পর ২০২৩ সালে সরকারের গৃহীত এই আইনটি বাতিল করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্ত সামনে এলো। মূলত গত বছরের জুলাই মাসে সরকার আইনটি পাস করে। তবে এই আইনটি ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষোভ ও বিভাজন সৃষ্টি করে।

এই সংস্কার বাতিল করার আহ্বান জানিয়ে রাস্তায় নামেন কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী এবং একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী  নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবিও জানান তারা। বিক্ষোভের আয়োজকরা বলেছেন, সাপ্তাহিক এই বিক্ষোভগুলো ছিল ইসরায়েলের ইতিহাসে রাস্তায় হওয়া সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ। সুপ্রিম কোর্টের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১৫ জনের মধ্যে ৮ জন বিচারক এই আইনের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন।
 
এদিকে ইসরায়েলের বিচারমন্ত্রী এবং আইনটির প্রধান কারিগর ইয়ারিভ লেভিন বিচারকদের ‘সমস্ত ক্ষমতা তাদের হাতে নেওয়ার জন্য’ সমালোচনা করেছেন। তবে বিরোধী নেতা ইয়ার ল্যাপিড রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের এই রায় নেতানিয়াহুর সরকারের প্রতি ইসরায়েলিদের আস্থা আরও ক্ষুন্ন করার হুমকি সামনে এনেছে। নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টি বলেছে, বিশেষ করে যুদ্ধের সময় আদালতের এই সিদ্ধান্ত ‘জনগণের ঐক্যের ইচ্ছার বিরোধী। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news