হিজবুল্লাহর হামলায় বিমান ঘাঁটির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার ইসরায়েলের

বাননের  প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর হামলায় একটি এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল ঘাঁটির ‘ব্যাপক ক্ষতি’র কথা স্বীকার করেছে ইসরায়েল। উত্তর ইসরায়েলের ওই ঘাঁটিতে শনিবার হামলা চালায় হিজবুল্লাহ। সংগঠনটি বলেছিল, বৈরুতে হামাসের উপ প্রধান সালেহ আল-আরুরিকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে ওই হামলা চালানো হয়েছে। এটি ওই হত্যাকান্ডের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া মাত্র। 

টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, লেবানন সীমান্ত থেকে ৮ কিলোমিটার দক্ষিণে মেরন পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত ওই বিমান ঘাঁটিতে শনিবার হিজবুল্লাহ অন্তত ৪০টি রকেট ও বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। 

হামলায় ‘ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি’ হওয়ার কথা স্বীকার করলেও সুনির্দিষ্টভাবে ক্ষতির পরিমাণ জানায়নি দখলদার সেনারা। তবে হিজবুল্লাহ ওই হামলার যে ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, ইসরায়েলি ঘাঁটিটির দু’টি রাডার গম্বুজে ট্যাংক-বিধ্বংসী গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানছে।  হিজবুল্লাহর হামলার শিকার ওই ইসরায়েলি ঘাঁটির কাজই হচ্ছে ‘শত্রু বাহিনীর’ বিমান হামলা সম্পর্কে আগাম সতর্কতা জানান ও প্রতিহত করা।  

রোববার রাতে ইসরাযেলি বাহিনীর সেনা মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হ্যাগারি দাবি করেন, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলসহ ঘাঁটিটির ক্ষয়ক্ষতি মেরামত করা সম্ভব হবে।  তিনি বলেন, “আমরা আগে থেকে মেরামতের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলাম।” ব্যাকআপ সিস্টেমের মাধ্যমে ঘাঁটির কার্যক্রম এখনও চলছে বলে তিনি দাবি করেন। হ্যাগারি বলেন, এমন  স্পর্শকাতর ঘাঁটিতেন কিভাবে হামলা করা হলো তা তদন্ত করে দেখছে তারা।

হিজবুল্লাহ শনিবারই এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, সালেহ আল-আরুরিকে হত্যার ‘প্রাথমিক জবাব’ হিসেবে ইসরায়েলের ওই বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে। হামলায় মেরন ঘাঁটিতে বিভিন্ন ধরনের ৬২টি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয় বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news