ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলীয় আল-আনবার প্রদেশে মার্কিন নিয়ন্ত্রণাধীন আইন আল-আসাদ সামরিক ঘাঁটিতে এ নতুন  হামলা চালিয়েছে ইরাকের ইসলামী প্রতিরোধ সংগঠনের যোদ্ধারা। গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইল যে বর্বর আগ্রাসন, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ চালাচ্ছে তার প্রতি আমেরিকার অকুন্ঠ সমর্থনের প্রতিবাদে এ হামলা হয়েছে বলে প্রতিরোধ সূত্র জানিয়েছে। সূত্র : পার্স টুডে

ইরাকের ইসলামী প্রতিরোধ যোদ্ধারা হামলায় ড্রোন  ব্যবহার করেন। এর দুই দিন আগে প্রতিরোধ যোদ্ধারা একই ঘাঁটিতে মার্কিন সেনাদের ওপর অন্তত ৪০টি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছিল। ওই হামলায় আইন আল-আসাদ ঘাঁটির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং বহু মার্কিন সেনা ব্রেইন ইনজুরির শিকার হয়েছেন। অনেক সেনা এতে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ট্রমাটাইজড হয়েছেন বলে খবর বেরিয়েছে। মার্কিন সামরিক বাহিনীর কেন্দ্রীয় কমান্ড বা সেন্টকম শনিবার সন্ধ্যায় হামলার কথা নিশ্চিত করে জানিয়েছিল যে, ব্রেইন ইনজুরির শিকার সেনাদের আহত হওয়ার মাত্রা মূল্যায়ন করে দেখা হচ্ছে।

ইরাকের মুসলিম প্রতিরোধ আন্দোলনের যোদ্ধারা সোমবার আরো জানিয়েছে যে, সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় দেইর আজ-জাওয়ার প্রদেশের কনিকো এলাকায় মোতায়েন মার্কিন সেনাদের ওপরও তারা হামলা চালিয়েছে। ইরাকি প্রতিরোধ যোদ্ধারা জানিয়েছে, সোমবার দুপুরে কোনিকো ঘাঁটিতে দুই দফা হামলা চালানো হয়।

ইরাকের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলনে সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে অংশ নেয়া কয়েকটি সংগঠন রয়েছে যাদেরকে সরকার দেশের বৈধ সামরিক শক্তি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এই প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সংগঠনগুলোর সম্মিলিত জোটকে পপুলার মবিলাইজেশন ইউনিট বা হাশদ আশ শাবি বলা হয়। এই জোট ইরাক এবং মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে ইসরায়েলের ঘোরতর সমর্থক দেশ মার্কিন সামরিক উপস্থিতির বিরুদ্ধে হামলায় অংশ নিচ্ছে।

news