চীন সফরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন
তিনদিনের চীন সফরে বুধবার সাংহাই পৌঁছেছেন তিনি। সেখানে তিনি শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তারপর শুক্রবার যাবেন বেইজিংয়ে। সেখানে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তার কথা হবে। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গেও বৈঠক করতে পারেন তিনি।
আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাংহাইয়ের জন্য চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সচিব চেন জিনইংয়ের সঙ্গে বৃহস্পতিবার সাক্ষাৎ করেন। দুই নেতা বাণিজ্য, তাইওয়ান এবং রাশিয়ার বিষয়ে মত পার্থক্য কমানোর বিষয়ে আলোচনা করেন। এ সময় ব্লিনকেন চীনকে মার্কিন ব্যবসার সঙ্গে ন্যায্য আচরণ করার আহবান জানান।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার জানান, ব্লিঙ্কেন চীনের ‘বাণিজ্য নীতি এবং নন-মার্কেট অর্থনৈতিক অনুশীলন’ সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং ‘চীনে মার্কিন কর্মী ও সংস্থাগুলির জন্য একই রকম সুযোগ-সুবিধা’ প্রত্যাশা করেন।
গত বছর জুনে ব্লিংকেন চীন সফরে গিয়েছিলেন। তার সেই সফরের ফলে দুই দেশের সম্পর্কে উত্তেজনা কমেছিল। পাঁচ বছরের মধ্যে ব্লিংকেনই সর্বোচ্চ মার্কিন কূটনীতিক যিনি চীন সফরে যান। এরপর গত বছরের নভেম্বরে দুই দেশের প্রেসিডেন্টের মধ্যে বৈঠক হয়েছিল। জো বাইডেন ও শি জিনপিংয়ের বৈঠকের ফলে দুই দেশের সম্পর্কে উত্তেজনা কিছুটা হলেও কমেছিল। ।
ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে সম্পর্ক আর খারাপ না হলেও এখনো বেশ কিছু সমস্যা থেকে গেছে। তাইওয়ান নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আছে। ইউক্রেন যুদ্ধে চীন যেভাবে রাশিয়াকে সমর্থন করছে, তাতে যুক্তরাষ্ট্র ক্ষুব্ধ। চীন থেকে ফেন্টানিল বানানোর জন্য প্রয়োজনীয় রাসায়নিক কম করার ক্ষেত্রেও বিশেষ অগ্রগতি হয়নি।
ব্লিংকেন তার সামাজিক মাধ্যমের পোস্টে জানিয়েছেন, চীন থেকে ফেন্টানিল ও সিন্থেটিক আফিমের মতো ওষুধ আসাটা কম করার বিষয়টি নিয়ে তিনি চীনা নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলবেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘মুখোমুখি বসে আলোচনার মাধ্যমে কূটনীতির আলাদা গুরুত্ব আছে।’ ব্লিংকেন বলেছেন, ‘ভুল ধারণা ও ভুল বার্তা এড়ানো দরকার। যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের স্বার্থরক্ষাটাও জরুরি।’ সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি


