এবার চাঁদের সম্পদ দখলের যুদ্ধ: চীনের তৎপরতায় যুক্তরাষ্ট্রকে নাসার সতর্কতা 

চাঁদে প্রথম পদার্পণ দিয়ে দুই পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে এক সময় ছিলো তুমুল বাকযুদ্ধ। তবে সেটা এখন অতীত। এখন চাঁদ নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন এক যুদ্ধ। তবে এবারের যুদ্ধ আর সেই দুই দেশের মধ্যে থেমে নেই। এতে যুক্ত হয়েছে বর্তমান সময়ের পরাশক্তি চীন।  আর এবার সেই লড়াই হলো চাঁদের  মূল্যবান সব খনিজ সম্পদের দখল নিয়ে। (গার্ডিয়ান ও মেইল)  

চাঁদে আছে সিলিকন, টাইটেনিয়াম ও অ্যালুমিনিয়ামের মতো মহামূল্যবান সব খনিজসম্পদের বিশাল মজুদ। আরো আছে বিপুল পরিমাণ হিলিয়মের ভাণ্ডার। চাঁদে যে পরিমাণ হিলিয়াম রয়েছে তা দিয়ে পরিবেশের কোনো ক্ষতি না করে কমপক্ষে ১০ হাজার বছর ধরে পৃথিবীর মানুষের প্রয়োজনীয় শক্তির চাহিদা মেটানো সম্ভব। বলা হচ্ছে চাঁদের এই খনিজসম্পদ যারা আগে সংগ্রহ করতে পারবে তারাই হবে আগামী পৃথিবীতে সবচেয়ে শক্তিশালী পরাশক্তি। 

সম্প্রতি চাঁদে চীনের অভিযান ও তৎপরতা নিয়ে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার প্রধান বিল নেলসন।  তার মতে চাঁদের খনিজ সম্পদের ওপর নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য চীন প্রায় ১০ বছর ধরে বেসামরিক কর্মকাণ্ডে আড়ালে সামরিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। ১৯৬৭ সালে এক বিশেষ চুক্তির মাধ্যমে মহাকাশ বা চাঁদে কেউ কোনো সামরিক তৎপরতা চালাতে পারবে না-মর্মে বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলো এক চুক্তি করেছিলো। 

নাসা প্রধান যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রণেতাদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, চীন যেভাবে গোপনে চাঁদের সম্পদের ওপর নিয়ন্ত্রণ দখলের জন্য তৎপরতা শুরু করেছে তাতে যুক্তরাষ্ট্রের সতর্ক হওয়া উচিৎ। পরিস্থিতি এমন হতে পারে যে চীন চাঁদের খনিজসম্পদ সমৃদ্ধ অঞ্চল নিজেদের বলে দাবি করে বসতে পারে। 

চন্দ্রজয়ের জন্য বেশ কয়েকটি অভিযান চালিয়েছে চীন। মহাকাশ গবেষণায় তারা বিপুল অর্থও খরচ করছে। ২০৩০ সালের মধ্যে চাঁদে মানুষ পাঠানোর লক্ষ্যে কাজ করছে দেশটি। ২০২২ সালে চীন পৃথিবীকে প্রদক্ষিণকারী একটি মহাকাশ স্টেশনও স্থাপন করেছে। স্টেশনটি পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে ২১১ থেকে ২৮০ মাইল উচ্চতায় ঘন্টায় ১৭ হাজার মাইল বেগে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news