জাবালিয়া শরণার্থী শিবির গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ইসরায়েল, ২৪ ঘন্টায় নিহত ৮৩

উত্তর গাজার জাবালিয়ায় হানাদার ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে হামাসসহ ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠনগুলোর যোদ্ধাদের  প্রচন্ড লড়াই চলছে। এসব লড়াইয়ে অসংখ্য হানাদার সেনা নিহত হয়েছে। 

প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হাতে মার খেয়ে নাস্তানাবুদ দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী এর প্রতিশোধ নিতে জাবালিয়া শরণার্থীশিবির গুঁড়িয়ে দিচ্ছে এবং হত্যা করছে নিরীহ নারীশিশুসহ সাধারণ ফিলিস্তিনিদেরকে। 

গাজার ঐতিহাসিক আটটি শরণার্থীশিবিরের সবচেয়ে বড় জাবালিয়া শরণার্থীশিবির। বাসিন্দারা বলেন, জাবালিয়ার কেন্দ্রস্থলে পৌঁছে গেছে ইসরায়েলি সাঁজোয়া যান। সামনে অগ্রসর হওয়ার পথে সব বাড়িঘর ও দোকানপাট গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি বুলডোজারগুলো।

ইসরায়েলি ট্যাংক ও যুদ্ধবিমান ঘরবাড়ি, মার্কেট, দোকানপাট ও রেস্তোরাঁয় হামলা চালিয়ে সব মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজায় আরও ৮৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। শনিবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ কথা জানিয়েছে।

রাফাহ’র পাশাপাশি উত্তর গাজায় নতুন করে স্থলহামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। গত শুক্র ও শনিবার সেখানে ইসরায়েলি বাহিনী, হামাসসহ গাজার সশস্ত্র সংগঠনগুলোর যোদ্ধাদের মধ্যে লড়াই চলে। শুক্রবার হামাস সেখানে খুব কাছ থেকে ১২ ইসরায়েলি সেনাকে এবং শনিবার আরও ১৫ ইসরায়েলি সেনাকে হত্যা করে।

হামাস মুখপাত্র আবু ওবায়দা জানান, গত ১০ দিনে প্রতিরোধ যোদ্ধারা শতাধিক ইসরায়েলি ট্যাংক ও সাজোঁয়াযান ধ্বংস ও অর্ধশত সেনাকে হত্যা করেছে। ইসরায়েল তাদের নিহত সেনাদের প্রকৃত সংখ্যা গোপন করছে বলে তিনি জানান। অন্যদিকে ইসরায়েলি বাহিনী সেখানকার যুদ্ধে ৫০ প্রতিরোধ যোদ্ধাকে হত্যার দাবি করেছে।

এদিকে কয়েক দিন আগে একটি ভবনে নিজেদের ট্যাংকের ভুলবশত গোলাবর্ষণে একজন সার্জেন্ট মেজর, একজন ক্যাপ্টেনসহ ছয় ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়। আহত হয় আরও ৭ জন। বিপুল সেনা হারানোর পর জাবালিয়া এলাকায় হামলা আরও তীব্র করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি 

news