ব্রিটেনের নির্বাচনী প্রচারে প্রাধান্য পাচ্ছে টিকটক

লণ্ডন ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক থমাস গিফট বলেছেন, বর্তমানে প্রগতিশীল বাম ঘরানার তরুণ সমাজ টিকটকের ওপর সংবাদ বা তথ্য সংগ্রহের জন্য সাংঘাতিকভাবে নির্ভরশীল। তার মানে এই নয় যে ডানপন্থীরাও এই অ্যাপ থেকে দূরে রয়েছে। গত বছরের নিউজিল্যান্ড  নির্বাচনে প্রধান  ভূমিকা পালন করে এই অ্যাপটি। এতে দেখা যায় মধ্য বামপন্থীদের পরাজিত করে ডানপন্থীরা বিপুল ভোটে জয়লাভ করে। (টেলিগ্রাফ )  

ব্রিটেনে টিনএজারদের মধ্যে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যম হিসেবে বিবিসির পরই স্থান করে নিয়েছে টিকটক। যদিও ১৪ মাস আগে অফিসিয়াল সিক্রেসির কথা বলে এই অ্যাপটি বন্ধ করে দেয় পার্লামেন্ট। এমনকি বরিস জনসনের সময়ে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের টিকটকের অফিসিয়াল অ্যাকাউন্টটি প্রায় দুই বছর ধরে নিস্ক্রিয় ছিলো। 

বরিস জনসনের নির্বাচনে ৩৩ বছরের সনি টপহ্যাম সোসাল ক্যাম্পেইনের মূল ভূমিকা পালন করেন । যাকে তিনি সোসাল মিডিয়ার প্রচারণার গুরু হিসাবে উল্লেখ করেছেন। 

২০১৯ সালের ‘ফ্যাক্ট চেক ইউকে’ নামের টিকটক একাউন্ট তরুণদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ  ভূমিকা রাখে। গত জানুয়রিতে তারা জানান যে, গত ১৮ মাস ধরে অর্ধেক তথ্য তারা টিকটক থেকেই পেয়েছেন। কার্লস লুথন যিনি একজন জনপ্রিয় এমপি যাকে টিকটকের মাধ্যমেই জনগণ চিনতে পেরেছে। ডিফেন্স সেক্রেটারি গ্রান্ড সেইপস বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধে যত অনুদান দিয়েছেন এবং যতগুলো  ভিজিট করেছেন সবগুলই টিকটকে আপলোড করা হয়েছে। টোরি পার্টির এমপি ডেহেনা ডেভিসন ২০১৯ সালে বিশপ অকল্যান্ড থেকে টিকটকের মাধ্যমেই প্রচারণার কাজটা করেছিলেন।  

শেফিল্ড ইউনিভার্সিটির ডিজিটাল পলিটিক্সের অধ্যাপক কেট ডমেট বলেছেন, লেবার ও কনজারভেটিভ উভয় দলেই মাত্র ছয় সপ্তাহের প্রচারণার জন্য টিকটক বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের উপরই নির্ভর করতে হচ্ছে। তাদের অডিয়ান্স তৈরি করতে বেশি সময় লাগবে না যদি এই অ্যাপ ব্যবহার করে।  

নির্বাচনী প্রচারণার প্রথম দিনে লেবার ও কনজারভেটিভরা যথাক্রমে ৫০ হাজার এবং ১৫হাজার  টিকটক ফলোয়ার সংগ্রহ করেছে। জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকি বাদ দিয়ে, উভয় দলই আশা করছে  টিকটকের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা বাড়ানোর প্রতিযোগিতাটি এখন তাদের বৃহত্তর লড়াই। 

প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক রোববার নিজের টিকটক আ্যাপ চালু করেন, হ্যালো টিকটক বলে। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news