শান্তি সম্মেলনে যাচ্ছে না চীন
পশ্চিমাদের উদ্যোগে যে শান্তি সম্মেলন হতে যাচ্ছে সেই অনুষ্ঠানে চীন যোগ দিবে না বলে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিয়েছে। সুইজারল্যান্ডে আয়োজিত এই সম্মেলনে রাশিয়াকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। অথচ ইউক্রেনকে সঙ্গে নিয়েই এই সম্মেলনের কর্মসূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। (রয়টার্স ০১-০৬-২০২৪)
চীন জোর দিয়ে আসছিলো যে, রাশিয়া এবং ইউক্রেন উভয় পক্ষের সম্মতি নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলন ডাকা উচিত। যাতে সব পক্ষের সমান অংশগ্রহণ থাকে। উভয়পক্ষই যাতে নায্য ও সাম্যের ভিত্তিতে শান্তি প্রস্তাবগুলিকে আলোচনা করার সুযোগ পায়।
তা না হলে চীনের পক্ষে শান্তি পুনরুদ্ধারে কার্যকরী ভূমিকা রাখা কঠিন হবে। গত ৩১ মে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং আনুষ্ঠানিকভাবে এই তথ্য জানিয়েছেন।
মাও নিং বলেন, মস্কোকে আমন্ত্রণ জানানো না হলে ইউক্রেন ও পশ্চিমারা যে শান্তি চায় তা পরিস্কার নয়। তাই চীনের উচিত আলাদাভাবে একটি পৃথক শান্তি সম্মেলনের ব্যবস্থা করা।
ইউক্রেন ইতিমধ্যে রয়টার্সকে চীনের এই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। বেইজিংয়ে ইউক্রেনীয় দূতাবাসের একজন মুখপাত্র বলেছেন, আমরা অত্যন্ত দুঃখিত যে সুইজারল্যান্ডে শীর্ষ সম্মেলনে চীন তার অবস্থান উপস্থাপনের সুযোগ নিতে পারছে না। ইতিমধ্যে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি আগামী ১৫-১৬ জুনের শান্তি সম্মেলনে ৯০ দেশের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবে বলে নিশ্চিত করেছে।
উল্লেখ্য ২৩ মে চীন ও ব্রাজিল শান্তি আলোচনার আহ্বান জানিয়ে একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছিল। তখন ইউক্রেনসহ ইইউ নেতারা তার প্রতিবাদ করে বলেছিল, শান্তি আলোচনায় ব্রিকস একটা প্রতিবন্ধকতা তৈরী করবে। ইইউ প্রতিনিধি জোসেপ বোরেল সতর্ক করেছিলেন যে রাশিয়া শান্তি সম্মেলনে ব্রিকস দেশগুলির মতামতকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি