মিনায় শয়তানে কংকর নিক্ষেপের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে হজ
হাজীরা শনিবার সারা দিন আরাফাত ময়দানে অবস্থান এবং ইবাদত-বন্দেগি করে অতিবাহিত করেন। সূর্যাস্তের পর তারা মুজদালিফায় যান। মিনা ও আরাফাতের মাঝে অবস্থিত মুজদালিফা।
মজুদালিফা মাগরিব ও এশার নামাজ একই সঙ্গে আদায় করে সেখানকার কংকরময় প্রান্তরে সবাই রাত যাপন করেন। ১০ জিলহজ রোববার ঈদুল আজহার দিনে ফজরের আলো ফোটার পর তারা মিনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন।
মিনায় তারা কোরবানি, শয়তানে পাথর নিক্ষেপ এবং মাথামুন্ডন করেন। এভাবে হাজীরা হজের গুরুত্বপূর্ণ সব আহকাম পালন করেন। এরপর ফরজ তাওয়াফের মাধ্যমে হজ সম্পন্ন হবে। আরও দুইদিন তারা মিনায় থাকবেন।
মুসলমান হজ পালন করেন। এ বছর হজের সময় কোন বড় ধরণের ঘটনা-বা দুর্ঘটনার কোন খবর পাওয়া যায়নি।
২০১৫ সালে হজের সময় মিনায় শয়তানের পাথর মারার সময় ভীড়ের চাপে পদপিষ্ঠ হয়ে মারা যান প্রায় ২,৩০০ হাজী। এটি ছিল হজের ইতিহাসে সবচাইতে বড় দুর্ঘটনা।
শবিবার আরাফাতের আবহাওয়া ছিল প্রচন্ড গরম। তাপমাত্রা ছিল ৪৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী গাম্বিয়ান হাজী রোহি ডেইজি(৬০) বলেন, ‘আলহামদুল্লিাহ আমি মাথায় অনেকবার পানি ঢেলেছি। ভালই আছি।’
মিসরের নারী হাজী আমাল মাহরুস(৫৫) বলেন, ‘আমি হজ করতে পেরে খুবই আনন্দিত। আমার এ অনুভুতি আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না।’ সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি