দালাই লামার সাথে মার্কিন প্রতিনিধি দলের বৈঠক, ক্ষুব্ধ চীনের কড়া হুশিয়ারি
মার্কিন হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসের সাবেক স্পিকার ন্যান্সি পেলোসিসহ একটি মার্কিন প্রতিনিধিদল বৃহস্পতিবার ভারতের হিমাচলে বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতা দালাই লামার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
বিবিসি জানায়, চীন এনিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেছে যে আমেরিকা যদি তিব্বতকে চীনের অংশ হিসাবে বিবেচনা না করে তাহলে তারা এ ব্যাপারে ‘কঠোর ব্যবস্থা’ নেবে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেন, “এটা সবাই জানে যে চতুর্দশ দালাই লামা পুরোপুরি ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব নন, বরং ধর্মের নামে চীন-বিরোধী বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকাণ্ডে জড়িত একজন নির্বাসিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।“
চীন-তিব্বত বিরোধ সমাধানের স্বপক্ষে মার্কিন কংগ্রেসে পাস হওয়া আইনটিকে যাতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সমর্থন না করেন, সেই আহ্বানও জানিয়েছেন লিন জিয়ান।
তিনি বলেন, “এই বিলে স্বাক্ষর করে এটিকে আইনে পরিণত করা যুক্তরাষ্ট্রের উচিত হবে না।
লিন জিয়ান বলেন, ‘চীন তার সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের স্বার্থ রক্ষায় দৃঢ় পদক্ষেপ নেবে।’
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘শিজাং(তিব্বত) বরাবরই চীনের অংশ ছিল। শিজাং পুরোপুরি চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং বাইরের কোনও হস্তক্ষেপের অনুমতি কখনোই দেওয়া হবে না। চীনকে নিয়ন্ত্রণ আর দমন করার লক্ষ্য নিয়ে শিজাংকে অস্থির করে তোলার প্রচেষ্টা করা কোনও ব্যক্তি বা কোনও শক্তিরই উচিত নয়। এধরনের প্রচেষ্টা কখনই সফল হবে না।’
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান জানাচ্ছি যে শিজাংকে চীনের অংশ হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি যেন মেনে চলা হয় এবং 'শিজাংয়ের স্বাধীনতা'-র ভাবনাকে সমর্থন না করা হয়। চীন তার সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের স্বার্থ রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ নেবে।’
মার্কিন হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস সম্প্রতি 'তিব্বত-চীন বিরোধ নিষ্পত্তিকে উৎসাহ প্রদান’ আইন ৩৯১-২৬ ভোটে পাশ করেছে। ইতিমধ্যেই মার্কিন সিনেটে তা পাশ হয়ে গেছে।
ওই বিল অনুযায়ী, তিব্বতের ইতিহাস, মানুষ ও প্রতিষ্ঠানগুলি সম্পর্কে সম্পর্কে চীনের 'মিথ্যা তথ্য'-এর মোকাবিলা করতে অর্থ সহায়তা করবে যুক্তরাষ্ট্র।
দালাই লামার সঙ্গে দেখা করতে আসা মার্কিন প্রতিনিধিদল একটি বিশেষ বিল নিয়ে আলোচনা করবেন, যে বিলে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন খুব শীঘ্রই সই করতে চলেছেন।
ওই বিলের উদ্দেশ্য হচ্ছে তিব্বতের সঙ্গে যাতে তারা চলমান সব বিবাদ মিটিয়ে নেয়, তার জন্য চীনের ওপরে চাপ সৃষ্টি করা।
তিব্বত তাদের অংশ বলে চীন যে দাবি করে, সেই ভাষ্যের পাল্টা জবাব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে এই বিলে।
তিব্বতের নেতাদের সঙ্গে চীনের যে আলোচনা ২০১০ সাল থেকে বন্ধ হয়ে আছে, তা আবারও চালু করার জন্য চীনের ওপরে চাপ সৃষ্টি করার কথাও বলা হয়েছে এই বিলে, যাতে তিব্বত নিয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছানো যায়। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি