ইসরাইলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, আর পাল্টা জবাব দেয়ার হুমকি ইসরাইলের। চলমান লেবানন-ইসরাইল-ইরান ইস্যুতে ফের উত্তাল মধ্যপ্রাচ্যে। এ সংকট বাংলাদেশের ওপরও নানামুখী প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ফিলিস্তিনের গাজা ও লেবাননে ইসরাইলি হত্যাযজ্ঞের প্রতিশোধ এবং হামাস, হিজবুল্লাহ ও ইসলামিক রেভ্যুলুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) নেতাদের গুপ্তহত্যার জবাবে ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। গাজার পর লেবাননে সামরিক আগ্রাসনের জবাবে মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাতে ইসরাইলের ভূখণ্ডে কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। এ হামলার লক্ষ্যবস্তু দেশটির রাজধানী তেল আবিবের তিনটি সামরিক ঘাঁটি ছিল বলে জানিয়েছে আইআরজিসি।

 অন্যদিকে, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এরই মধ্যে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, ইরানকে ইসরাইলে হামলা করার জন্য গুরুতর ফলাফল ভোগ করতে হবে। উদ্ভূত এ পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যে আরও বেশি সংঘাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
 
 নেতানিয়াহুর কড়া হুঁশিয়ারির পর আবার কোন বড় যুদ্ধের দিকে যাচ্ছে বিশ্ব -- এমন আলোচনা এখন সবখানে। ইসরাইলে ইরানের হামলার ঘটনাকে ভয়াবহ বিপদের আলামত বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ। তিনি বলেন,
 
এ অবস্থায় সাপ্লাই চেইন ক্ষতিগ্রস্ত হলে প্রভাব পড়তে পারে বাংলাদেশেও। এছাড়া, এতে জ্বালানির বাজারও অস্থির হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
 
মধ্যপ্রাচ্যের এমন সংকটে বাংলাদেশের ওপর নানামুখী প্রভাব পড়তে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, যুদ্ধের প্রভাবে বাড়তে পারে বিভিন্ন জিনিসপত্রের দাম। কারণ পণ্য পরিবহনে জাহাজের ভাড়া, ইন্স্যুরেন্স ও সময় বাড়বে। এতে ধাক্কা খেতে পারে দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহও।
 
 কারণ হিসেবে তিনি বলেন, আমেরিকার জনগণের কাছে গাজায় গণহত্যার চিত্র পরিষ্কার। অন্যদিকে, আরব বিশ্বে বিভাজন আরও পরিষ্কার। ইরান বড় ধরনের যুদ্ধ মোকাবেলা করতে প্রস্তুত। এতে বিশ্বের সব মুসলিম দেশই পদক্ষেপ নিতে পারে।
 

তবে এ মুহূর্তে বড় ধরনের যুদ্ধে যাওয়াকে আত্মঘাতী বলে মনে করছেন এ বিশেষজ্ঞ। যুদ্ধ থামাতে আমেরিকার জনগণ ভূমিকা রাখতে পারে বলেও মত তার। 

news