মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতির নাটকীয় মোড়। মাঝ আকাশে হলো ইসরায়েল ও ইরানের লড়াই। শুক্রবার রাতে লেবাননে ইসরায়েলি স্থল অভিযান শুরুর পর দিন তেহরান থেকে একটি বিমান লেবানন বা সিরিয়া যাচ্ছিল। তবে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর বাধার মুখে ইউটার্ন নিতে বাধ্য হয় ওই বিমান। নাটকীয় এ ঘটনার তথ্য জানা গেছে, ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইটের ডাটা থেকে।
লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত এলাকা দিয়ে শুক্রবার গভীর রাতে ওই অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। কিন্তু খুব একটা সুবিধা করে উঠতে পারছে না তারা। অবস্থা বেগতিক দেখে এখন ইসরায়েল আবারও লেবাননে বিমান হামলা শুরু করেছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী লেবাননে তাদের এই অভিযানকে ‘সামরিক ব্লকেড’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। তারা বলছে, দীর্ঘ সময় ধরে এই অভিযান চলতে পারে। ইসরায়েল বলছে, তাদের এই ব্লকেডের উদ্দেশ্য ইরানকে ঠেকানো। তেহরান যাতে লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের কোনো রকম অস্ত্র সরবরাহ করতে না পারে সেই লক্ষ্যে এগোচ্ছে তারা।
আর এজন্য লেবানন ও সিরিয়ার মধ্যেবর্তী সব ‘সামরিক’ ক্রসিংয়ে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। তাদের হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছে একটি টানেলও। এ ছাড়া একটি বেসামরিক ক্রসিংয়ে হামলা করেছে তেল আবিব।
বেসামরিক ব্যক্তিরা চলাফেরার জন্য ওই ক্রসিং ব্যবহার করে থাকেন। তবে ইসরায়েলের দাবি, লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধারাও ওই ক্রসিং ব্যবহার করছিল। এরপরই সেটি লক্ষ্য করে ইসরায়েল হামলা চালায়। এমনকি বৈরুতের বেসামরিক বন্দর দিয়েও যেন ইরান কোনো অস্ত্র পাঠাতে না পারে, সে ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছে ইসরায়েল। দেশটি বলছে, এ ধরনের যে কোনো প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেবে তারা।
এরই মধ্যে টাইমস অব ইসরায়েল এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে, ওই বিমানে করে লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের জন্য অস্ত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। আর তখনই বাধা হয়ে দাঁড়ায় ইসরায়েলি বাহিনী। তারা ওই বিমানকে মাঝ আকাশ থেকেই ফেরত পাঠায়। ঘটনাটি দুদিন আগের হলেও তার রেশ এখনো রয়েছে। ইরান থেকে ইসরায়েলে হামলা। তার পাল্টা লেবাননে ইসরায়েলের অভিযান একসূত্রে গাঁথা।
একসঙ্গে বেশ কয়েকটি ফ্রন্টে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। গাজায় এক বছর ধরে অভিযান চালাচ্ছে তারা। পাশাপাশি লেবাননেও শুরু করেছে স্থল অভিযান। সিরিয়া, ইরাক ও ইয়েমেনেও নিয়মিত বিরতি চলছে ইসরায়েলের আগ্রাসন। এত সবের মধ্যে ইরানের সঙ্গে বড় যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।