মার্কিন সংবাদ-মাধ্যম এনবিসি গাজার শিশুদের ওপর এক বছরের যুদ্ধের প্রভাব সম্পর্কে লিখেছে এই শিশুদের মধ্যে প্রতিরোধের চেতনা এবং ইসরাইলের প্রতি ঘৃণা বাড়বে।
এনবিসি'র এ সংক্রান্ত এক প্রবন্ধে বলা হয়েছে, গত এক বছরে গাজার ১৬ হাজার ৯০০ শিশু ইসরাইলি হামলায় নিহত হয়েছে। গাজার ২২ লাখ জনসংখ্যার অর্ধেকই শিশু।
মার্কিন এই সংবাদ-মাধ্যম গাজার শিশুদের ওপর ইসরাইলের এক বছরের যুদ্ধের মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব সম্পর্কে জানিয়েছে, ওসামা মুহাম্মাদ আবু মুস্তাফা নামের গাজার এক ফিলিস্তিনি শিশু হতে চেয়েছিল ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর মত বড় ফুটবলার, কিন্তু ফুটবল খেলার সময় ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র কেবল তার বলই কেড়ে নেয়নি কেড়ে নিয়েছে তার একটি পা। গাজায় ইসরাইলের হামলার কারণে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি শিশুর জীবন এই ওসামা মুহাম্মাদের মতই ধ্বংস হয়ে গেছে।
এনবিসি আরও লিখেছে, হানিন নামের এক ফিলিস্তিনি বালিকা কেবল তার বাবা, মা ও বোনকেই হারায়নি সে হারিয়েছে তার উভয় পা ইসরাইলি বোমা হামলায়।
জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের মুখপাত্র জেমস এল্ডার বলেছেন, গাজার অন্তত এক হাজার শিশু তাদের একটি অথবা উভয় পা হারিয়েছে ইসরাইলি বোমা হামলায়।
গাজায় শিশুদের ওপর ইসরাইলি হামলার বিষয়ে বিশ্ব-সমাজের নিরবতার কারণে ফিলিস্তিনি শিশুরা আর এই আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাকে গ্রহণ করবে না, কারণ এই ব্যবস্থা তাদের জীবনের উন্নয়নে কোনো সহায়তা দেয়নি এবং তাদের দুর্ভোগ দূর করার জন্য কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে তারা প্রতিরোধকামী ফিলিস্তিনিদের দিকে ক্রমেই বেশি মাত্রায় ঝুঁকছে, কারণ প্রতিরোধকামীরা এই শিশুদের রক্ষার জন্য সক্রিয়। ইসরাইলের প্রতি গাজার শিশুদের ঘৃণাও ক্রমেই বাড়বে বলে মার্কিন এই মিডিয়ার প্রবন্ধে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে।
পার্সটুডে


