গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে আবার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে। তবে হামাস বলেছে, ইসরাইল যুদ্ধ বন্ধ না করলে একজন ইহুদিবাদী পণবন্দিও জীবিত মুক্তি পাবে না।
মিশরের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে দেশটির আল-কাহেরা টিভি জানিয়েছে, হামাসের গাজা উপত্যকার উপপ্রধান খলিল আল-হাইয়্যার নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধিদল যুদ্ধবিরতির আলোচনা করতে বৃহস্পতিবার কায়রোয় পৌঁছেছে। অন্যদিকে ইসরাইলি গোয়েন্দা প্রধান ডেভিড বার্নিয়া যুদ্ধবিরতির আলোচনা করতে রোববার দোহা যাবেন বলে ইহুদিবাদী গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।
খলিল আল-হাইয়্যা এরইমধ্যে যুদ্ধবিরতির শর্তাবলী নিয়ে মিশরীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
আলোচনায় জড়িত একজন মিশরীয় কূটনীতিক জানিয়েছেন, হামাস যুদ্ধ বন্ধ করতে রাজি হয়েছে তবে সংগঠনটি তাদের মৌলিক অবস্থানে অটল রয়েছে। তারা বলছে, যুদ্ধ সম্পূর্ণ বন্ধ করে গাজা থেকে ইসরাইলি সেনা পুরোপুরি প্রত্যাহার, বাস্তুচ্যুত গাজাবাসীকে তাদের ঘরবাড়িতে ফেরার সুযোগ প্রদান, গাজায় মানবিক ত্রাণের প্রবেশাধিকার প্রদান এবং বন্দি বিনিময়ের মাধ্যমেই কেবল ইসরাইল তার পণবন্দিদের ফেরত পাবে।
এদিকে হামাসের সিনিয়র নেতা ওসামা হামদান জোর দিয়ে বলেছেন, যুদ্ধ পুরোপুরি বন্ধ করে গাজা থেকে সব ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত একজন ইহুদিবাদী পণবন্দিও মুক্তি পাবে না। তিনি লেবাননের আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, মধ্যস্থতাকারীরা আমাদেরকে আবার আলোচনা শুরু করার প্রস্তাব দিয়েছেন, কিন্তু আমরা আমাদের মৌলিক নীতিমালা তাদেরকে জানিয়ে দিয়েছি। হামদান বলেন, মিশরের প্রস্তাব শোনার জন্য হামাসের প্রতিনিধিদল কায়রো সফরে গেছে কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে, আমরা আমাদের মৌলিক নীতিমালা থেকে সরে আসব।
পার্সটুডে