গত মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশে মার্কিন দীর্ঘ পাল্লার বি-১বি বোমারু বিমান উড়ানোর ঘটনায় ক্ষুব্ধ উত্তর কোরিয়া। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বৃহস্পতিবার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, এই ঘটনাকে তারা আক্রমণের প্রস্তুতি হিসেবে দেখছে এবং এর জবাব দেওয়া হবে। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ-তে প্রকাশিত বিবৃতিতে তিনি বলেন, "মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার সাম্প্রতিক সামরিক কার্যক্রম আমাদের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি। এটি অঞ্চলের উত্তেজনা বিপজ্জনক স্তরে নিয়ে গেছে।"
মার্কিন ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়াকে উত্তর কোরিয়া সবসময়ই আগ্রাসনের প্রস্তুতি হিসেবে দেখে থাকে। বিশেষ করে দীর্ঘ পাল্লার বোমারু বিমান, বিমানবাহী রণতরী কিংবা পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিনের মতো কৌশলগত অস্ত্রের ব্যবহারে তারা তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখায়। এই মহড়ার কয়েক ঘণ্টা পরই দক্ষিণ কোরিয়ার বিমানবাহিনী ঘোষণা দেয়, তারা দুই সপ্তাহব্যাপী বড় ধরনের যৌথ বিমান মহড়া "ফ্রিডম ফ্ল্যাগ" শুরু করছে। এতে ৯০টি যুদ্ধবিমান ও অন্যান্য সম্পদ ব্যবহার করা হবে।
উত্তর কোরিয়া সাধারণত এরকম ঘটনার জবাবে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায়। গত কয়েক মাসে তারা একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে নিজেদের পারমাণবিক শক্তি আধুনিকীকরণের চেষ্টা চালিয়েছে। পাশাপাশি, রাশিয়াকে অস্ত্র ও সৈন্য সরবরাহ করে ইউক্রেন যুদ্ধে সমর্থন দিচ্ছে তারা। কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা বাড়ার এই সময়ে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, "কিম খুবই বুদ্ধিমান একজন নেতা, আর উত্তর কোরিয়া এখন একটি বড় পারমাণবিক শক্তি।" যদিও দুই দেশের মধ্যে কোনো আনুষ্ঠানিক আলোচনা চলছে না, এবং ট্রাম্পের এই আবেদনে পিয়ংইয়ংয়ের পক্ষ থেকে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, উত্তর কোরিয়ার এই হুঁশিয়ারি নতুন নয়, কিন্তু বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে যেকোনো অপ্রত্যাশিত পদক্ষেপ ঝুঁকি বাড়াতে পারে। মার্কিন-দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ মহড়া চলাকালীন উত্তর কোরিয়া কোনো প্রকারের অস্ত্র পরীক্ষা চালালে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হতে পারে। খবর ইউএনবির
#উত্তর_কোরিয়া #মার্কিন_বোমারু_বিমান #কোরীয়_উপদ্বীপ #সামরিক_উত্তেজনা #KimJongUn


