ইরানজুড়ে বাড়ছে উৎকণ্ঠা ও গুঞ্জন—সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি কোথায়? যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সঙ্গে সাম্প্রতিক উত্তেজনা, পাল্টা হামলা ও যুদ্ধবিরতির মতো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনায় তিনি একেবারেই অনুপস্থিত। নেই কোনো বার্তা, ছবি কিংবা সরাসরি উপস্থিতি—তাঁর এই নিঃশব্দতা ঘিরে প্রশ্ন, উদ্বেগ ও রাজনৈতিক আলোড়ন তীব্র হয়ে উঠেছে।

রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারে সরাসরি জিজ্ঞাসা করা হলে খামেনির দপ্তরের কর্মকর্তা রহস্যজনকভাবে বলেন, "সবাই দোয়া করুন, যারা দায়িত্বে আছেন, তাঁরা কাজ করছেন। ইনশাআল্লাহ, আমরা বিজয় উদ্‌যাপন করব নেতার পাশে দাঁড়িয়ে।"

সরকারি সূত্র বলছে, খামেনি নিরাপত্তার কারণে বাংকারে অবস্থান করছেন এবং ইলেকট্রনিক যোগাযোগ এড়িয়ে চলছেন। তবে অনেকেই নিশ্চিত নয়—তিনি আদৌ সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন কি না। এ নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা, রাজনীতিকদের মধ্যে দোলা দিচ্ছে ক্ষমতার ভারসাম্য।

প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান নেতৃত্বাধীন একটি মধ্যপন্থী গোষ্ঠী কূটনীতির পথে ফিরতে আগ্রহী। অপরদিকে কট্টরপন্থীরা—যেমন সাঈদ জলিলির নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠী—যুদ্ধবিরতি ও আলোচনার তীব্র বিরোধিতা করছে।

এ সময় সামাজিক মাধ্যমে শুরু হয়েছে তীব্র বাকযুদ্ধ। প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র বলেন, "ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যেমন লড়ছি, তেমনি আপনাদের বিভ্রান্তিকর কথার বিরুদ্ধেও লড়াই করব।"

খামেনির অনুপস্থিতিতে দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক রূপরেখা, পারমাণবিক কর্মসূচি এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক—সবকিছুই অনিশ্চয়তার মুখে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, আশুরার আগে যদি খামেনি প্রকাশ্যে না আসেন, তা হবে এক গভীর সংকেত। ইরান এখন অপেক্ষায়—নেতার প্রত্যাবর্তন, নাকি এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা?

news