ইসরাইলকে বিষফোঁড়ার সঙ্গে তুলনা করে বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া স্পষ্ট করে দিলেন, এই অবৈধ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পিছপা হবার কোনো সুযোগ নেই। তাঁর কথায়, "১৯৪৮ সালে জোর করে গড়ে তোলা ইসরাইল রাষ্ট্রকে বাংলাদেশ বা ফিলিস্তিনের মানুষ কখনোই মেনে নেয়নি। হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির চুক্তি করেও বারবার তা ভঙ্গ করেছে ইসরাইল। গাজার নিরীহ মানুষের ওপর বর্বর হামলা চালিয়ে তারা মানবতার মর্যাদাকেই পদদলিত করেছে। এই রাষ্ট্র পুরো বিশ্বের জন্যই এক বিষফোঁড়া, যা প্রতিরোধ করতে হলে বিশ্ব মুসলিমকে এক হতে হবে।"
এই বক্তব্য তিনি দিয়েছিলেন রবিবার (২০ এপ্রিল) গুলশানের কার্যালয়ে। আগামী ২৬ এপ্রিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে 'মাস গ্যাডারিং ফর প্যালেস্টাইন' মহাসমাবেশের আগে 'মুভমেন্ট ফর ফ্রি প্যালেস্টাইন'-এর পক্ষ থেকে ন্যাপ নেতাদের আমন্ত্রণ জানাতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। দলের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি অসুস্থ থাকায় তাঁর পক্ষে আমন্ত্রণপত্র গ্রহণ করেন গোলাম মোস্তফা।
তিনি ফিলিস্তিনের প্রতি বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সমর্থনের কথা স্মরণ করিয়ে বলেন, "মহাকবি ইকবাল থেকে শুরু করে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ—সবাই বেলফোর ঘোষণা ও ইসরাইল রাষ্ট্র গঠনের তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশও সেই চেতনাকে ধারণ করে চলেছে। আমরা কখনোই ইসরাইলের অন্যায়কে সমর্থন করিনি, বরং ফিলিস্তিনের মুক্তির সংগ্রামে পাশে দাঁড়িয়েছি।"
গোলাম মোস্তফার কথায় আক্ষরিক অর্থেই আগুন জ্বলে উঠল, "গাজাকে মুক্ত করতেই হবে, ফিলিস্তিনকে স্বাধীন করতেই হবে! হয় আমরা বিজয়ী হবো, নয়তো ফিলিস্তিনি শিশুদের মতো শাহাদাত বরণ করবো—মুসলিম উম্মাহর জন্য এছাড়া আর কোনো পথ খোলা নেই।" ন্যাপের প্রতিষ্ঠাতা মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী থেকে শুরু করে পরবর্তী নেতৃত্ব সব সময়ই ফিলিস্তিনের পক্ষে অটল ছিলেন, সেই ধারা আজও অক্ষুণ্ণ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ন্যাপের ভারপ্রাপ্ত প্রচার সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান, অর্থ সম্পাদক প্রত্যুত কুমার রায় প্রমুখ। তাদের উপস্থিতি যেন ইঙ্গিত দিচ্ছে, ফিলিস্তিনের পক্ষে বাংলাদেশের সংহতি কোনো ফাঁকা বুলি নয়, বরং এক ঐতিহাসিক অঙ্গীকার।
#ফিলিস্তিন_মুক্তি_চাই #ইসরাইল_বিরোধী_সংগ্রাম #গাজা_আমাদের_অন্তর #বাংলাদেশ_ন্যাপ #বিশ্ব_মুসলিম_ঐক্য


