এশিয়া মহাদেশে ম্যাচ আয়োজন করতে চায় উয়েফা

হামারি পরবর্তী সময়ে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গণে অর্থনীতিতে ভাটা পড়েছে। ইউরোপিয়ান ক্লাব শ্রেষ্ঠত্বের আসর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের জনপ্রিয়তা ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফেরাতে এশিয়া মহাদেশের বিভিন্ন দেশে গ্রুপ পর্বের গুরুত্বপূর্ণ কিছু ম্যাচ আয়োজনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে যাচ্ছে উয়েফা। এছাড়া আমেরিকা-মধ্যপ্রাচ্যেও ম্যাচ আয়োজন হতে পারে, এমন গুঞ্জন ইউরোপের সংবাদমাধ্যমে। স

ইউরোপের ক্লাব শ্রেষ্ঠত্বের আসর উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। যে আসর ঘিরে ফুটবল ভক্তদের উন্মাদনা চোখে পড়ার মতো। ক্লাব শ্রেষ্ঠত্বের এ মহারণ শুধু ইউরোপ জুড়ে নয়, পুরো বিশ্বজুড়ে সমাদৃত।

এর মধ্যে আলাদা করেই বলতে হয় এশিয়ান ভক্তদের কথা। মধ্য এশিয়ায় ইউরোপের ফুটবলের অনেক বড় বাজার। ইপিএলের ক্লাবগুলো প্রাক-মৌসুমে এশিয়ার বিভিন্ন দেশ সফর করে থাকে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে দর্শক ধরে রাখার জন্য গেল কয়েক মৌসুম ধরে, ইংল্যান্ডের স্থানীয় সময় ভর দুপুরে ম্যাচ আয়োজন করে আসছে ইপিএল কর্তৃপক্ষ।

তবে বিশ্বজুড়ে জেকে বসা কোভিড মহামারির কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে ভাটা পড়েছে। সে রেশ ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গণের অর্থনীতিতেও। ওয়ার্ল্ড স্পোর্টসে স্থিতিশীলতা ফেরাতে ইপিএলের দেখানো পথে এগোতে যাচ্ছে উয়েফা। সূচনাকাল থেকেই উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ অংশগ্রহণকারী ক্লাবগুলোর মাঠেই আয়োজন করা হয়। তবে এবার ইউরোপের বাইরেও ইউসিএলের গ্রুপ পর্বের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ম্যাচ আয়োজনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলে শোনা যাচ্ছে।

ইউরোপের বাইরে আমেরিকা, চীন ও মধ্যপ্রাচ্যে ইউসিএলের গুরুত্বপূর্ণ কিছু ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনা করছে কর্তৃপক্ষ। আগামী সপ্তাহে, উয়েফা নির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ক্রোয়েশিয়ার হাভারে। ফুটবলের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফেরাতে এ ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ব্যাপারে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

গত তিন মৌসুমে দু'বার স্প্যানিশ সুপার কাপের ম্যাচ সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী আসরও বসবে সৌদিতে। গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, উয়েফা সুপার কাপের ম্যাচও ইউরোপের বাইরে আয়োজন হতে পারে। তবে, এ সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ইউরোপিয়ান ফুটবল প্রেমীরা।

এদিকে, আগামী মৌসুম থেকে ৩২ দলের পরিবর্তে ৩৬ দলের অংশগ্রহণে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ আয়োজনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের পথে হাটছে ইউসিএল কর্তৃপক্ষ। 

news