সংবিধানের চার মূলনীতির মধ্যে তিনটি বাদ দিয়ে নতুন চারটি নীতি যুক্ত করার সুপারিশ করেছে সংবিধান সংস্কার কমিশন। গণতন্ত্র বহাল রেখে প্রস্তাবিত নতুন নীতিগুলো হলো সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার ও বহুত্ববাদ।  

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭২ সালে গৃহীত সংবিধানে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতাকে রাষ্ট্র পরিচালনার চার মূলনীতি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।  

অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বাধীন সংবিধান সংস্কার কমিশন সেই চার মূলনীতির মধ্যে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতা বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেছে।  

অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন,  “মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ এবং ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের জন-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটানোর জন্য এই পাঁচটি নীতি প্রস্তাব করা হয়েছে।”  

প্রতিবেদনে গণভোটের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধনের সুপারিশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠনের প্রস্তাবও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।  

কমিশনের সুপারিশে বলা হয়েছে, গণতন্ত্র বহাল রেখে নতুন নীতিগুলো রাষ্ট্র পরিচালনায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে।  

অধ্যাপক আলী রীয়াজের বক্তব্য, “আমরা সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য নিশ্চিত করতে চাই। সংশ্লিষ্ট সব রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের সঙ্গে আলোচনা হবে।”  

সুপারিশগুলো নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে অন্তর্বর্তী সরকার। আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্য হওয়া সংস্কারগুলো বাস্তবায়ন করা হবে।  

সংবিধান সংস্কার নিয়ে বিতর্ক শুরু হতে পারে। এখন দেখার বিষয়, রাজনৈতিক দলগুলো এই প্রস্তাবগুলোকে কীভাবে গ্রহণ করে।  

news