বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ায় কাচের বোতল ঝুলিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। স্থানীয়রা বলছেন, এসব বোতল মদের খালি বোতল যা বিএসএফ ঝুলিয়ে রেখেছে। তবে এ ঘটনায় সীমান্ত এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
৫১ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সেলিম আলদীন জানান, কাঁটাতারের বেড়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যই এ ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে বিএসএফ। তিনি বলেন, “কেউ যদি রাতের আঁধারে বেড়া সরানোর চেষ্টা করে, তখন বোতলগুলো থেকে শব্দ হবে, যা বিএসএফ প্রহরীদের সতর্ক করবে।”
গত বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ভারতের কোচবিহার জেলার বিএসএফ শিবির থেকে সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ায় এসব বোতল ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।
বিএসএফের দাবি, বোতল ঝোলানোর মূল উদ্দেশ্য হলো, চোরাচালান বা বেআইনি কার্যকলাপ ঠেকানো। যদি কেউ কাঁটাতার কাটতে বা সরাতে চায়, তাহলে বোতল পড়ে ভেঙে শব্দ হবে এবং নিকটস্থ প্রহরীরা দ্রুত সজাগ হয়ে উঠবেন।
বিএসএফ কর্মকর্তারা জানান, এটি কোনো স্থায়ী ব্যবস্থা নয়। সীমান্তে চোরাচালান ও বেআইনি পারাপার রোধে স্থানীয় পর্যায়ে প্রযোজ্য এ ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
লালমনিরহাটের দহগ্রাম ও তিন বিঘা করিডোরের কাছে সীমান্তের জিরো লাইনে এক-সারির বেড়া ব্যবহার করা হয়েছে। এটি সাধারণ ত্রিস্তরীয় কাঁটাতারের বেড়া থেকে ভিন্ন। যেখানে ত্রিস্তরীয় বেড়া নির্মাণ সম্ভব নয়, সেখানে এক-সারির বেড়া দেওয়া হচ্ছে।
বিএসএফ সূত্রে জানা গেছে, সীমান্তে চোরাচালান ঠেকাতে এখন এমন বিশেষ কাঁটাতার ব্যবহার করা হচ্ছে, যা কেটে ফেলা প্রায় অসম্ভব। অনেক জায়গায় নাইলনের জাল লাগানো হয়েছে, যা টপকানো কঠিন।
কাচের বোতল ছাড়াও বিএসএফ সীমান্তে অত্যাধুনিক বৈদ্যুতিক নজরদারি যন্ত্রপাতি ও ক্যামেরা স্থাপন করেছে। ভালনারেবল জায়গাগুলো চিহ্নিত করে সেখানে প্রহরীর পাশাপাশি বৈদ্যুতিক ডিভাইস ও ক্যামেরার সমন্বয়ে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে সীমান্তের নিরাপত্তা জোরদার করাই বিএসএফের মূল লক্ষ্য। তবে সীমান্তের সাধারণ মানুষ এমন ব্যবস্থায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।


