ঈদযাত্রায় রেলের নিয়মে কড়াকড়ি, যার নামে টিকিট, যেতে পারবে সেই: রেলমন্ত্রী 

ঈদের সময় ট্রেনের টিকিট কাটা, টিকিট নিয়ে কালোবাজারি, ট্রেনে সহজে উঠতে না পারা, অপরিষ্কার প্ল্যাটফর্ম এবং হকারদের উৎপাতে অতিষ্ঠ ছিল যাত্রীরা। এবার অধিকতর নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে যথাসময়ে ট্রেন চলাচল করবে। 

বাড়তি ভিড়ের কারণে অনেকে টিকিট কাটার পরও নিজ আসনে বসতে পারেনি। আর বিনা টিকিট বা স্ট্যান্ডিং টিকিটে যাত্রীরা গাদাগাদি করে ট্রেনে ওঠায় সেবাবঞ্চিত হয়েছে মানুষ। এবার চিত্র তার ভিন্ন। যার সিট নম্বরে টিকেট যার সেই বসবে। রেলওয়ের একাধিক সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। 

রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, কালোবাজারি ঠেকাতে রেলের টিকিটে স্বচ্ছতা আরো বাড়ানো হচ্ছে। জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া টিকিট কাটা যাবে না। আবার যার নামে টিকিট কাটা হবে তাকেই ভ্রমণ করতে হবে। সেটা টিকিট চেকারের হাতে থাকা অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অনবোর্ডে যাত্রীর পরিচয় নিশ্চিত করা হবে।

নূরুল ইসলাম সুজন আরো বলেন, রেলের আগের সেই অবস্থা এখন আর নেই। ট্রেনে দাঁড়িয়ে যাওয়ার জন্য স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি, বিনা টিকিটে ভ্রমণ পুরোপুরি বন্ধ। টিকিট ছাড়া একজন যাত্রীও এখন আর ভ্রমণ করতে পারছে না। 

এবারের ঈদযাত্রাকে সামনে নিয়ে একাধিক ব্যবস্থাপক জানান, টিকিট ছাড়া কেউ স্টেশনেও প্রবেশ করতে পারছে না। উন্নত হয়েছে ট্রেনসেবাও। হুড়াহুড়ি আর ছাদে যাত্রী ওঠা বন্ধ করতে বিমানবন্দর, জয়দেবপুর ও নরসিংদী স্টেশনে নেওয়া হয়েছে কঠোর নজরদারি। শিডিউল বিপর্যয় ঠেকাতে, কোনো ট্রেনকে যেন আর দাঁড়িয়ে থাকতে না হয় সে জন্য সিঙ্গল লাইন ডুয়াল করা হচ্ছে।

প্রতিবছর ঈদ ঘিরে টিকিট নিয়ে সক্রিয় থাকত কালোবাজারি চক্র। ওই চক্র কাউন্টারের সামনে নিজেদের লোকজন দাঁড় করিয়ে টিকিট সংগ্রহ করত। পরে সেই টিকিট যাত্রীর কাছে দ্বিগুণ বা তিন গুণ বেশি দামে বিক্রি করত। 

এবার টিকিট নিয়ে কালোবাজারির সুযোগ নেই। টিকিটের জোগানের চেয়ে চাহিদা বেশি থাকায় একসঙ্গে অনেক মানুষ অনলাইনে টিকিটের জন্য চেষ্টা করায় কালোবাজারি চক্র সুবিধা করতে পারছে না বলে জানায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

news