তথ্য অধিকার আইনে প্রার্থিত তথ্য না দেওয়ায় ঢাকার সাভার উপজেলার আমিন বাজার ইউনিয়ন পরিষদের সচিবকে এক হাজার টাকা এবং বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কলসকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের সচিবকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করেছে তথ্য কমিশন।
২৫ ও ২৬ এপ্রিল ২০২২ তারিখে তথ্য কমিশনে ভার্চুয়াল শুনানীশেষে এ নির্দেশ দিয়েছে তথ্য কমিশন। শুনানী করেন প্রধান তথ্য কমিশনার মরতুজা আহমদ, তথ্য কমিশনার সুরাইয়া বেগম এনডিসি এবং তথ্য কমিশনার ডক্টর আবদুল মালেক।
২০১৬-১৭, ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯, ২০১৯-২০, ২০২০-২১ অর্থ বছরে ইউনিয়ন পরিষদে রাজস্ব আয়, সরকারী অনুদান ও অন্যান্য উৎস থেকে অর্থ আয়ের বিবরণ (অর্থ আয়ের খাতসমূহের নাম ও অর্থের পরিমাণ), ভ‚মি হস্তান্তর কর থেকে আয়ের পরিমাণ ও প্রকল্পের মাধ্যমে বাস্তবায়িত প্রকল্প তালিকা, প্রকল্পের বর্তমান অবস্থার বিবরণ, গৃহীত প্রকল্পের নামের তালিকা ও ব্যয়ের বিবরণ, প্রকল্প বাস্তবায়নকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও ঠিকাদারের নাম ঠিকানা প্রভৃতি তথ্য জানতে চেয়ে আমিন বাজার ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের কাছে আবেদন করেছিলেন সাভারের মোঃ ইমদাদুল হক।
অপরদিকে পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র), জেলা গোয়েন্দা শাখা, পটুয়াখালী কর্তৃক আপনার কার্যালয়ে দাখিলী বিশ্বেশ্বর রায় চৌধুরী ওয়ারিশ সার্টিফিকেট প্রাপ্তির আবেদনের সহিত প্রদর্শিত ব্যক্তিগণ জীবিত আছেন কি না। জীবিত থাকিলে তাহাদের ভোটার তালিকা, জাতীয় পরিচয় পত্র, সদ্য তোলা ছবি ও মোবাইল নম্বর, বিজ্ঞ আদালতের মোকাদ্দমায় ওয়ারিশীর বিষয়টি নিষ্পত্তি হওয়া সত্তে¡ও তাহা জানিয়া শুনিয়া কোন আইন/ বিধির বা কোন ক্ষমতা বলে ওয়ারিশ সার্টিফিকেট প্রাপ্তি আবেদনটি তাঁর কার্যালয় গ্রহণ করিয়াছেন, উত্তবাধিকারী ব্যতিরেকে বা বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশ ব্যতিরেকে ওয়ারিশ সার্টিফিকেট পাওয়ার আবেদন করার কোন সুযোগ আছে কি না? থাকিলে আইন, বিাধ ও প্রজ্ঞাপনের কপি, তাঁর কার্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত একাধিক ওয়ারিশ সার্টিফিকেট বহাল থাকা অবস্থায় কোন লিখিত নোটিশ ব্যতিরেকে এবং উত্তরাধিকারীদের আবেদন ব্যতিরেকে ৩য় পক্ষ বা পুলিশের আবেদনক্রমে ওয়ারিশ সনদপত্র প্রদানের সুযোগ আছে কি না প্রভৃতি তথ্য জানতে চেয়ে বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কলসকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের কাছে আবেদন করেছিলেন বরিশালের শ্রীমতি ববিতা মুখার্জী।
তথ্য না পেয়ে উভয় আবেদনকারী পরবর্তীতে আপীল করেন। আপীল করেও তথ্য না পেয়ে তথ্য কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেন। উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে শুনানীঅন্তে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তথ্য অধিকার আইনে উক্ত জরিমানা করা হয় এবং ১০ কার্যদিবসের মধ্যে আবেদনকারীগণের চাহিত তথ্য প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়।


