সোমালিয়ায় ক্রমবর্ধমান সংঘাত নিয়ে আান্তর্জাতিক উদ্বেগ
কাতার, সোমালিয়া, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সোমালিয়ার উত্তরাঞ্চলের বিচ্ছিন্ন অঞ্চল সোমালিল্যান্ডের একটি বিতর্কিত শহরের কাছে সংঘর্ষের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সেখানে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিকে সেখানে সংঘর্ষে অন্তত ৩৪ জন নিহত হয়েছে।
গত বছরের শেষ দিকে লাসকানুদ শহরে স্থানীয় গোত্রীয় বাহিনী ও সোমালিল্যান্ডের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। শহরটির চারদিকে প্রচন্ড লড়াই ছড়িয়ে পড়েছে। শহরটি গুরুত্বপূর্ণ বানিজ্য পথের মাঝে অবস্থিত।
উপরোক্ত ছয়টি দেশ এক যৌথ বিবৃতিতে জানায়, শরিক দেশগুলো লাসকানুদ শহর ও আশপাশের চলমান সংঘর্ষ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে। এতে সকল পক্ষের প্রতি যুদ্ধবিরতি, সংঘাত পরিহার, বিনা বাঁধায় মানবিক সহায়তা প্রদান অনুমোদন এবং শান্তিপূর্ণ আলোচনা শুরুর আহ্বান জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র দপ্তর বিবৃতিটি প্রকাশ করে।
ফেব্রুয়ারি মাসে সুল প্রদেশসহ সোমালিল্যান্ডের তিন প্রদেশের প্রবীন নেতারা বৈঠক করার পর গত মসের প্রথম দিকে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। লাসকানুদ শহরটি সুল প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত। তারা সোমালিয়ার সাথে পুণরায় যোগদান করা এবং সোমালিয়ার কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বিবৃতি দেয়ার পর সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে। ৪৫ লাখ জনসংখ্যা অধ্যুষিত সোমালিল্যান্ড ১৯৯১ সালে সোমালিয়া থেকে স্বাধীনতা ঘোষনা করে। অঞ্চলটি অপেক্ষাকৃত শান্ত ও স্থিতিশীল ছিল এতোদিন।
সোমালিল্যান্ড নিজস্ব মুদ্রা ও পাসপোর্ট চালু ও নিজস্ব সরকার নির্বাচনের আয়োজন করা সত্ত্বেও অঞ্চলটির স্বাধীনতা ঘোষনাকে কেউ স্বীকৃতি দেয়নি। এতে অঞ্চলটি দবিদ্র ও আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে। সোমালিল্যান্ড কর্তৃপক্ষ ১০ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে তবে তা লংঘন করার জন্য একে অপরকে দোষারোপ করে।
লাসকানুদের প্রধান হাসপাতালের পরিচালক আহমদ মোহাম্মাদ হাসান বলেন, তার হাসপাতালে বোমাবর্ষন করা হয়েছে। এতে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ও অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা, ব্লাড ব্যাংক ও অন্যান্য সম্পদ ধ্বংস হয়ে গেছে। সোমালিল্যান্ড অবশ্য লাসকানুদে হাসপাতাল ও স্কুলে হামলা চালানোর কথা অস্বীকার করেছে।
গত সপ্তাহে জিতিসংঘ জানায়, সংঘর্ষের কারণে এক লাখ ৮৫ হাজারেরও বেশি মানুষ বাস্তচ্যূত হয়েছে। পর্যাপ্ত অর্থের অভাবে ত্রাণ কর্মীরা সেখানে তাদের কার্যক্রম চালাতে পারছেন না। এ ছাড়া সোমালিল্যান্ডের ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষ ইথিওপিয়ায় পালিয়ে গেছে।
এনবিএস/ওডে/সি


