ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে নিহত ১৫, নিখোঁজ ৫০
ইন্দোনেশিয়ায় দক্ষিণে চীন সাগর তীরবর্তী নাতুনা অঞ্চলে প্রবল বর্ষণ থেকে সৃষ্ট ভূমিধসে অন্তত ১৫ জন নিহত ও বহু নিখোঁজ রয়েছে। প্রবল মৌসুমি বৃষ্টিপাতের পর এ ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। অব্যাহত বৃষ্টির কারণে উদ্ধার কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে। জাকার্তায় কর্মকর্তারা একথা জানান।
সোমবারের এ বিপর্যয়কর ঘটনা ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার দেওয়া ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, প্রত্যন্ত সেরাসানি দ্বীপের বনঘেরা এলাকার বাড়িঘর কাঁদা ও অবর্জনার নীচে চাপা পড়ে আছে। বিধ্বস্ত বাড়িঘরের ধাতব খন্ড ও গাছপালা উপড়ে পড়ার দৃশ্য দেখা গেছে।
নতুনার স্থানীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থার প্রধান আব্দুর রহমান এএফপিকে বলেন, ১৫ জনের মৃত্যুর নিশ্চিত খবর পাওয়া গেছে। নিখোঁজ রয়েছে আরো ৫০ জন।
এর আগে, গত সোমবার ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র আবদুল মুহারি স্থানীয় একটি টেলিভিশনকে জানান, ১৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং অন্তত ৫০ জন নিখোঁজ রয়েছে।
উদ্ধারকারী দলকে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজ মঙ্গলবার সংস্থা থেকে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে সেখানে উদ্ধার কার্যক্রম চালাতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে।
দ্বীপটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র জুনাইনা বলেন, আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটছে। প্রবল বাতাস এখনো বয়ে যাচ্ছে। বেশ উঁচু হয়ে জোয়ার তীরে ছুটে আসছে। সোমবার ৬০ সদস্যের অনুসন্ধান ও উদ্ধার দল দ্রুতগামী নৌযান নিয়ে দ্বীপটির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। তাদের পৌঁছুতে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে।.
রাইয়ু দ্বীপের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র জুনাইনা বলেন, দ্বীপের সঙ্গে মূল ভূ-খণ্ডের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। যে কারণে সর্বশেষ তথ্য পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না।
ইন্দোনেশিয়ায় বর্ষাকালে ভূমিধসের প্রবণতা বাড়ে, আবার কিছু কিছু জায়গায় বন উজাড়ের ফলে তা আরও বেড়ে যায় এবং দীর্ঘস্থায়ী মুষলধারে বৃষ্টির কারণে দ্বীপপুঞ্জের দেশ ইন্দোনোশিয়ার বিভিন্ন এলাকায় বন্যা ও ভূমিধস দেখা দেয়। ২০২০ সালে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা ও আশপাশের শহরে প্রবল বর্ষণ থেকে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ৬৭ জনের প্রাণহানির ঘটে।
এনবিএস/ওডে/সি


