প্যাঙ্গং লেকের ওপর বিশাল সেতু বানাচ্ছে চিন, অস্ত্রশস্ত্র-সাঁজোয়া গাড়ি পারাপার করবে

পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে মোটেও সরে যায়নি চিনের সেনা। বরং নতুন উদ্য়োমে প্য়াঙ্গং লেকের ওপরে দ্বিতীয় সেতু বানাতে শুরু করেছে লাল ফৌজ (Ladakh Standoff)। এমনটাই দেখা গেছে উপগ্রহ চিত্রে। দুই দেশের সেনা কম্য়ান্ডার পর্যায়ের বৈঠকের পরে চিন সেনা সরিয়ে নেওয়ার দাবি করলেও বাস্তবে হয়েছে উল্টোটাই। ভারতীয় সেনা সূত্র জানাচ্ছে, প্য়াঙ্গং লেক ও সংলগ্ন ফিঙ্গার পয়েন্টগুলোতে আধিপত্য দখলের মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে চিন। তাদের অস্ত্রশস্ত্র সাঁজোয়া গাড়ি পারাপারের জন্য তাই আবারও সেতুন নির্মাণের কাজ শুরু করেছে তারা।

প্যাঙ্গং লেক সহ পূর্ব লাদাখের একাধিক এলাকা থেকে সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের জন্য চিনের উপর চাপ বাড়িয়েছে ভারত। কিন্তু গালওয়ান নদী উপত্যকা, গোগরা, হট স্প্রিং সহ কিছু এলাকায় মুখোমুখি অবস্থান থেকে সামান্য সেনা পিছনো (ডিসএনগেজমেন্ট) ছাড়া তেমন কোনও কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি চিনকে। গালওয়ানে সেনার সংখ্যা সামান্যই কমেছে, কিন্তু পরিবর্তে উত্তর লাদাখের দেপসাং ভ্যালিতে নতুন করে সেনা মোতায়েন শুরু করেছে চিন।

নতুন উপগ্রহ চিত্র দেখাচ্ছে, উত্তর প্যাঙ্গং লেকের কাছে গত সেপ্টেম্বর থেকে ব্রিজ তৈরি করছে চিন। দক্ষিণ তীর থেকে মাত্র কয়েক মিটার দূরত্বেই সেই ব্রিজ রয়েছে। প্রায় ৩১৫ মিটার লম্বা। এই সেতু পথেই অস্ত্রশস্ত্র, যুদ্ধট্যাঙ্ক নিয়ে যাওয়ার কাজ সারবে লাল ফৌজ। এখনই পাহাড়ি ফিঙ্গার এলাকাগুলিতে অস্ত্রশস্ত্র মোতায়েন করছে চিনা বাহিনী।

সেনা সূত্র বলছে, ডিসএনগেজমেন্ট বা সেনা পিছনোর প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার পরে দেখা গেছে, লাল ফৌজ তাদের রুটগ বেসে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। তার আগে থেকেই এই ঘাঁটি সাজিয়ে তোলার কাজ চলছিল। এখনকার উপগ্রহ চিত্রে দেখা গেছে, সেখানে ছোট ছোট ঘরের মতো কাঠামো তৈরি হয়েছে। ক্যাম্প খাটানো হয়েছে। অস্ত্র রাখার জায়গাও আছে। রাইফেল ডিভিশনও মোতায়েন করা হয়েছে। প্যাঙ্গং লেকের উত্তরে সবুজে ঢাকা উপত্যকাও লাল ফৌজের নিশানায় রয়েছে। ৫০০০ মিটার বিস্তীর্ণ এই উপত্যকাকে বলে ‘গ্রিন টপ’ । গত ১৫ জুন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় দুই দেশের বাহিনীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পরে এই উপত্যকাতেও ঢুকে আসে চিনের বাহিনী।খবর দ্য ওয়ালের /এনবিএস/২০২২/একে

news