অভাবের তাড়নায় একরত্তিকে অনাথ আশ্রমে দিয়েছিলেন মা, আজ সেই ছেলেই ধনপতি!

 লিওনার্দো দেল ভেচিও (Leonardo Del Vecchio)। ইতালির নামকরা শিল্পপতি তিনি। বহুদিন হল নাম লিখিয়েছেন ধনপতিদের তালিকায়। বিশ্বের সবচেয়ে বড় চশমার ব্যবসা তাঁরই নামে রয়েছে। লাক্সোটিকা কোম্পানির মালিক এই লিওনার্দো দেল ভেচিওর অতীত কিন্তু চমকপ্রদ। আজ যিনি কোটি কোটি টাকার মালিক, একটা সময় তাঁকেই অভাবের তাড়নায় ঘুরতে হয়েছিল রাস্তায় রাস্তায়। এমনকি পয়সা বাঁচাতে এই ছেলেকেই তাঁর মা অনাথ আশ্রমে দিয়ে এসেছিলেন!

ইতালিজুড়ে লিওনার্দো দেল ভেচিওর (Leonardo Del Vecchio) খ্যাতি আকাশছোঁয়া। দেশের অন্যতম বড় শিল্পপতি তিনি। একসময় পেট ভরে খেতে পেতেন না, জুটত না ন্যূনতম খাবারও।


তখন বিশ্বযুদ্ধ চলছে। অভাব ঘরে ঘরে। ভেচিওর (Leonardo Del Vecchio) জন্মের পাঁচ মাস আগেই মারা যান তাঁর বাবা। মা গ্রাজিয়া রোকো মিলান শহরের ফুটপাতে ঘুরতেন চার ছেলেমেয়ে নিয়ে। অভাব এতটাই তীব্র ছিল, যে শহরের এক অনাথ আশ্রমের দরজায় পৌঁছে গিয়েছিলেন গ্রাজিয়া। সেখানেই দিয়ে এসেছিলেন সাত বছরের লিওনার্দোকে। ইতালির সেই মারটিনিট ইনস্টিটিউট অরফ্যানেজেই লিওনার্দোর জীবনের পরবর্তী ৭ বছর কাটে।

Leonardo Del Vecchio
মায়ের চিঠিতেই মূর্ত লিওনার্দোর অতীত-কথা (Leonardo Del Vecchio)
গ্রাজিয়ার একটি চিঠি সংরক্ষিত রয়েছে ওই অনাথ আশ্রমের ফাইলে। বহুবছর সেই চিঠিতে কেউ হাত দেননি। পরে জানা গেছে ওই চিঠিতেই গ্রাজিয়া লিখে রেখেছিলেন একলা মায়ের জীবন সংগ্রামের কথা। লিওনার্দোর মা তখন একটি কারখানায় কাজ করতেন। ছেলেকে দেখার কেউ ছিল না। অযত্নে অবহেলায় যুদ্ধের আবহে ছেলেটা হয়তো মরেই যাবে, এই ভেবে অনাথ আশ্রমে তাঁকে রেখে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন গ্রাজিয়া। সাত বছর সেখানে কাটিয়ে লিওনার্দোর (Leonardo Del Vecchio) বয়স যখন ১৪ বছর তখন অনাথ আশ্রম থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কাজ খুঁজতে বেরিয়ে পড়েছিলেন বৃহত্তর জীবন সংগ্রামে।

লিওনার্দো সেই সময় নিজের কাছে একটা প্রতিজ্ঞা করে বেরিয়েছিলেন। স্থির করেছিলেন, আর কোনওদিন ক্ষুধার্ত থাকবেন না। নিজেকে এমন জায়গায় নিয়ে যাবেন যেখানে কেবল নিজের কাছেই কৈফিয়ৎ দিতে হবে। আর কারও কাছে নয়।খবর দ্য ওয়ালের  /এনবিএস/২০২২/একে

news