টাইটানিক বিস্ফোরণ: মরদেহ কি কখনো পাওয়া যাবে?
হঠাৎ ভয়াবহ ট্রাজেডির শিকার হয়ে যারা মারা গেলেন টাইটানিক সাবেমেরিনের ৫ আরোহী। গভীর শোকের কালোছায়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছেন তাদের স্বজনেরা। তাদের মরদেহগুলো গভীন মহাসাগর তলার কোথায় পড়ে আছে সে রহস্য তাদের বেদনাকে আরো বাড়িয়ে তুলেছে।
টাইটান সাবমেরিন বিস্ফোরণে নিহতদের পরিবারের জন্য তাদের এ দু:খের কোন শেষ নেই। বংশ পরস্পরায় তারা বেদনার বোঝা বহন করে চলবে। যেমনটি খোদ টাইটানিক জাহাজের যাত্রীদের পরিবারগুলো বয়ে বেড়াচ্ছে এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে।
টাইটানিক জাহাজটি সাড়ে ১২ হাজার ফুট পানির নীচে পড়ে আছে। ডুবে যাওয়ার সময় তাতে এক হাজারেরও বেশি যাত্রী ছিল। তাদের কারোর মরদেহ খুঁজে পাওয়া যায়নি। সম্ভবত লবনাক্ত পানিতে গলে হারিয়ে গেছে তাদের মরদেহগুলো।
টাইটান সাবমেরিনের ৫ আরোহীর পরিণতিও হয়ত তাদের মতো হবে। তা ছাড়া তাদের বহনকারী সাবমেরিনটি ভয়াবহ বিস্ফোরণেরও শিকার হয়েছিল। ‘সাগরের অতি গভীরে বিস্ফোরণ ঘটে। এতো দ্রুত এটি ঘটে যে দেহ ও আত্মার চলে যাওয়ার কোন পথ খোলা ছিল না।’ একথা বলেন বিশেষজ্ঞ আইলিন মারিয়া মার্টি। তিনি হলেন ফ্লোরিডার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির হার্বার্ট ওয়ের্দেয়িম কলেজ অব মেডিসিনের সংক্রামক রোগ বিষয়ক একজন বিশেষজ্ঞ।
মার্টি বলেন, ‘সাবমেরিনটি বিস্ফোরিত হওয়ার কারণে তার ভেতরেই মরদেহগুলো চুর্ণবিচুর্ণ হয়ে গেছে। তাই এদের সনাক্তযোগ্য কোন অঙ্গ বা অংশ পাওয়ার কোন সম্ভাবনাই নেই।’
ক্রুরা মহাসাগরের ১৬০০ ফুট নীচে সাগর তলায় সাবমেরিনটির কয়েকটি খন্ড দেখতে পেয়েছেন। সেখানে পানির বিপুল চাপ রয়েছে। স্থানটি ঘোর অন্ধকারাচ্ছন্ন। আর ভয়ানক শীতলও। বৃহস্পতিবার উপকুল রক্ষীরা জানান, মরদেহ উদ্ধার করতে পারবেন কিনা তা তারা জানেন না।
টাইটানিক সাবমেরিনের ৫ আরোহীর মধ্যে ছিলেন ওশেনগেট সিইও স্টকটন রাশ, ব্রিটিশ কোটিপতি অভিযাত্রী হামিশ হার্র্র্ডিং, ফরাসী সমুদ্র ও টাইটানিক বিশেষজ্ঞ পল হেনরি নারগিওলেট এবং পাকিস্তানী কোটিপতি শাহজাদা দাউদ ও তার ছেলে সোলায়মান দাউদ।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি


