বিশ্বের অর্ধেক মানুষ ডেঙ্গু-ঝুঁকিতে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হুঁশিয়ারি
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) বলেছে, নতুন নতুন দেশ ও অঞ্চলে ডেঙ্গুজ¦রের বিস্তার ঘটছে। দেশ থেকে দেশে মানুষের যাতায়াত, নগরায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে। সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা
হু’র অন্যতম শীর্ষ কর্মকর্তা ড. রমন ভেলাইউধান শুক্রবার জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ১২৯টি দেশে ডেঙ্গু বিস্তৃত হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ৫২ লাখ মানুষ। তাদের মধ্যে প্রায় ৩০ লাখ মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশের।
আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে আক্রান্তদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বলিভিয়া, প্যারাগুয়ে এবং পেরুতে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই বিশেষজ্ঞ বলেন, সংক্রমণের বর্তমান যে ধারা, তা আশঙ্কাজনক। এই ধারা বজায় থাকলে কিছুদিনের মধ্যে আরো ৪০ লাখ মানুষ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে আছে। আর সেক্ষত্রে আসতে পারে ডেঙ্গু মহামারির ঘোষণা।
ড. রমন বলেন, এশিয়ার দেশগুলো হয়তোবা ডেঙ্গুর বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। তবে মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর জন্য এই রোগের বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করা বড় একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।
এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ানো ডেঙ্গুজ¦র মূলত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ও বৃষ্টিবহুল অঞ্চলের রোগ। সাম্প্রতিক কয়েক দশকে নাটকীয়ভাবে এই রোগের প্রকোপ বেড়েছে।
২০০০ সালে সারাবিশ্বে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছিলো ৫ লাখ। ২০২২ সালে এই সংখ্যা হয়েছে ৪২ লাখ। চলতি বছর এই সংখ্যা আরো বাড়বে।
রমন ভেলাইউধান বলেন, অধিকাংশ রোগীই আক্রান্ত হওয়ার পর জ্বর, মাংসপেশিতে ব্যথার মতো উপসর্গে ভুগছেন। অনেকের ক্ষেত্রে আবার দেহে কোনো উপসর্গ নেই, কিন্তু প্লাটিলেট নেমে গেছে আশঙ্কাজনক পর্যায়ে। এই আক্রান্তদের মধ্যে অন্তত ১ শতাংশ প্রাণ হারিয়েছেন।
রমন ভেলাইউধান মনে করিয়ে দেন, ঘুমানোর সময়ে মশারির ব্যবহার এবং বাসাবাড়ি ও অফিস আদালতে পানি জমতে না দেওয়ার মতো পদক্ষেপগুলো হয়তো খানিকটা সুরক্ষা দিতে পারবে। কিন্তু ডেঙ্গুজ¦র ঠেকানোর সবচেয়ে কার্যকর পন্থা হলো এডিস মশা ও সেটির প্রজনন ক্ষেত্র সম্পূর্ণ ধ্বংস করা। তিনি সংস্থার পক্ষ থেকে বিশ্ববাসীকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি


