ক্ষমতা ছাড়বে না সেনাবাহিনী, নাইজারে দূতাবাস কর্মী কমাল যুক্তরাষ্ট্র

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজোমকে এক সপ্তাহের মধ্যে পুণর্বহালের হুমকি দিয়েছিল অঞ্চলটির ১৫ দেশের জোট ইকোয়াস। ২৬ জুলাই অভ্যুত্থান সংঘটিত হওয়ার পর ৩০ জুলাই এ হুমকি দেওয়া হয়। তবে প্রধান অভ্যুত্থানকারী সেনা কর্মকর্তা জেনারেল আব্দুর রহমান চিয়ানি এসব হুমকি-ধামকি প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেছেন, মোহাম্মদ বাজোমকে প্রেসিডেন্ট পদে পুণর্বহাল করা হবে না।

আর তার এমন ঘোষণার পর নাইজারে অবস্থিত নিজেদের দূতাবাস থেকে কিছু কর্মীকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি প্রত্যাখ্যান করে জেনারেল চিয়ানি  বুধবার জাতির উদ্দেশ্যে টেলিভিশন ভাষণে বলেছেন, ‘সেনাবাহিনী এসব নিষেধাজ্ঞা এবং হুমকি-ধামকিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। নাইজারের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যে কোনো হস্তক্ষেপ আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।’ দেশকে রক্ষা করতে তিনি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিযেছেন্। এতে দেশটিতে ইকোয়াসের সম্মিলিত সামরিক হামলার ঝুঁকি আরও বেড়েছে। সংস্থাটি ঘোষণা দিয়েছে, আফ্রিকায় আর কোনো অভ্যুত্থান মেনে নেওয়া হবে না। ফলে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতায় নিয়ে আসতে তারা সামকির পদক্ষেপসহ সবকিছু করবে।

ইকোয়াস জানিয়েছে, সামরিক হামলা তাদের সর্বশেষ পদক্ষেপ। ইকোয়াসের রাজনৈতিক বিষয়ক কমিশনার আব্দেল-ফাতাউ মুসাহ বলেছেন, ‘সামরিক পদক্ষেপ টেবিলের সর্বশেষ পদক্ষেপ, কিন্তু আমাদের এ নিয়ে প্রস্তুতি নিতে হবে। আমাদের দেখাতে হবে আমরা শুধু উচ্চবাচ্য নয়, বাস্তবেও সবকিছু করতে পারি।’

নাইজারে ফ্রান্সসহ পশ্চিমা কয়েকটি দেশের সৈন্য অবস্থান করছে। বিশেষ করে ফ্রান্সের বিশাল ঘাঁটি রয়েছে দেশটিতে। নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখতে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে সেনা মোতায়েন করে রেখেছিল ফ্রান্স। তবে গত বছর মালিতে অভ্যুত্থানের পর ফরাসি সেনাদের সেখান থেকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর সেসব সেনা যায় নাইজারে এসে অবস্থান করছে। এখন নাইজারেও সামরিক অভ্যুত্থান হওয়ায় আফ্রিকায় তাদের সেনাদের অবস্থান হুমকির মুখে পড়ে গেছে। আর তাই এখন যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলোকে নিয়ে এ অভ্যুত্থান ব্যর্থ করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে ফ্রান্স।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা 
 
এনবিএস/ওডে/সি

news