মরক্কোয় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৮০০ গ্রামবাসীর ৪র্থ রাতও কাটল রাস্তায়
উত্তর আফ্রিকার দেশটিতে এক শতাব্দীরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় ও প্রাণঘাতী এক ভূমিকম্প আঘাত হানে শুক্রবার রাতে। ৬.৮ মাত্রার এ ভূমিকম্পে আহত হয়েছেন আড়াই হাজারেরও বেশি মানুষ। ভয়াবহ এই ভূমিকম্পের পর মরক্কোর কিছু অঞ্চলের গ্রামবাসী সোমবারও (১১ সেপ্টেম্বর) টানা চতুর্থ রাত ঘরের বাইরে কাটিয়েছেন।
ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল মারাক্কেশ শহর থেকে ৭১ কিলোমিটার দূরে এটলাস পর্বতমালা এলাকার মাটির ১৮ দশমিক ৫ কিলোমিটার গভীরে। ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। হতাহতদের ও জীবিতদের সন্ধান ও উদ্ধার প্রচেষ্টায় মরক্কোর সঙ্গে যোগ দিয়েছে স্পেন, ব্রিটেন এবং কাতারের উদ্ধারকর্মীরা। ভূমিকম্প আঘাত হানা অঞ্চলগুলোর বেশিরভাগই দুর্গম হওয়ায় নিখোঁজ মানুষের কোনও পরিসংখ্যান প্রকাশ করেনি দেশটির কর্তৃপক্ষ।
ভূমিকম্পে তিনমেল গ্রামে প্রায় প্রতিটি ঘর ধূলিসাৎ হয়ে গেছে এবং গ্রামবাসীদের সবাই গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। গ্রামের বিভিন্ন অংশে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকা অসংখ্য মৃত পশুর দুর্গন্ধ চারপাশে ছড়িয়ে পড়েছে। ৫৯ বছর বয়সী মোহাম্মাদ আলহাসান জানান, ভূমিকম্পের সময় তিনি তার পরিবারের সাথে রাতের খাবার খাচ্ছিলেন। ভূমিকম্প শুরু হলে তার ৩১ বছর বয়সী ছেলে বাইরে পালিয়ে যায় এবং তাদের প্রতিবেশীর ছাদ ধসে পড়ায় ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়ে তার ছেলে । এ সময় চিৎকার শুনে তিনি ছেলের খোঁজ শুরু করেন। অবশেষে ছেলেকে উদ্ধার করা হয় মৃত অবস্থায়। আলহাসান এবং তার স্ত্রী ও মেয়ে তাদের বাড়িতেই ছিলেন এবং তারা সবাই বেঁচে আছেন।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস বলছে, ১৯৬০ সালের পর গত শুক্রবারের এই ভূমিকম্প ছিল দেশটিতে সবচেয়ে প্রাণঘাতী। ওই বছর দেশটিতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে কমপক্ষে ১২ হাজার মানুষ নিহত হয়েছিল।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি


