রাশিয়ার সম্পদ জব্দ করার পরিণতি নিয়ে শঙ্কিত আমেরিকা
রাশিয়ার সম্পদ জব্দ করার ঘটনায় আমেরিকার বিনিয়োগ পরিবেশের সুনাম ক্ষুণ্ন হতে পারে বলে শঙ্কিত হয়ে পড়েছে হোয়াইট হাউস। দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমস গতকাল (মঙ্গলবার) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরেছে।
কয়েকটি সূত্র এবং হোয়াইট হাউসের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন যে, রাশিয়ার সম্পদ জব্দ করার ঘটনা বেআইনি হতে পারে এবং যে সমস্ত দেশ আমেরিকা এবং ডলারকে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে মনে করেন তারা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অনুৎসাহিত হয়ে পড়তে পারে।
দুই সপ্তাহ আগে শিল্পোন্নত দেশগুলোর সংগঠনটি জি-সেভেনের সম্মেলনে রাশিয়ার জব্দ করা সম্পদ ব্যবহারের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করা হয় এবং ইউক্রেনের পুনর্গঠনে ওই সম্পদ কাজে লাগানোর ধারণাকে কানাডা, জার্মানি ও পূর্ব ইউরোপের কিছু দেশ সমর্থন করে। তবে আমেরিকা এ ব্যাপারে সতর্ক অবস্থান নেয়। মার্কিন অর্থমন্ত্রী জেনেট ইয়েলেন গত মাসে বলেছেন, রাশিয়ার জব্দ করা সম্পদ ইউক্রেনের পুনর্গঠনে ব্যবহার করা হবে বেআইনি।
বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তাদের অনেকে মনে করছেন, রাশিয়ার সম্পদ ইউক্রেনে ব্যবহার করা হলে অন্য দেশগুলো আমেরিকার অর্থব্যবস্থা থেকে তাদের জমানো অর্থ সরিয়ে দিয়ে অন্য কোন দেশে রাখতে পারে। এসব বিতর্কের কারণে রাশিয়ার সম্পদ কী করা হবে তা নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে নি মার্কিন প্রশাসন।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর আমেরিকা এবং তার মিত্র দেশগুলো রাশিয়ার তিন হাজার কোটি ডলার জব্দ করেছে তবে প্রকৃত অর্থের পরিমাণ এর চেয়ে কম হতে পারে বলে কোনো কোনো খবরে উল্লেখ করা হচ্ছে।
রাশিয়া বলেছে, তার সম্পদ জব্দ করে সেগুলো যদি ইউক্রেনে ব্যবহার করা হয় তাহলে সেটি হবে ‘সম্পূর্ণভাবে নৈরাজ্য’ যা আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বড় রকমের প্রভাব ফেলবে।খবর পার্সটুডে/এনবিএস/২০২২/একে


