জঙ্গি হামলা ও পণবন্দির আতঙ্কে অচল হামবুর্গ বিমানবন্দর

গাড়ি নিয়ে জার্মানির হামবুর্গ বিমানবন্দরে গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকে শূন্যে গুলি চালালেন এক ব্যক্তি। তার সঙ্গে চার বছরের একটি শিশুও ছিল। শিশুটিকে অপহরণ করে বিমানে চম্পট দেওয়ার চেষ্টা? নাকি বিমানবন্দরে আরও বড় নাশকতার ছক? সেক্ষেত্রে মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতেই শিশুটিকে অপহরণ? উঠেছে নানা প্রশ্ন। ডয়েচে ভ্যালে

ওই ব্যক্তিকে শূন্যে গুলি চালাতে দেখে বিমানবন্দরের মধ্যে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু হয়ে যায়। ব্যাহত হয় ফ্লাইট পরিচালনা।

 শনিবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটে। সাম্প্রতিক অতীতে জার্মানির কোনও বিমানবন্দরে এতোবড় নিরাপত্তার গাফিলতির ঘটনা ঘটেনি। এর জেরে বন্ধ করে দিতে হয় এয়ারপোর্ট। বাতিল হয়েছে অন্তত ২৭টি বিমান।

জার্মান পুলিশ বলছে, শনিবার বিমানবন্দরের টার্মিনাল ওয়ানে ওই ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, অভিযুক্ত ব্যক্তি শূন্যে দু’রাউন্ড গুলি চালান। গাড়ি থেকে বোতলও ছুড়ে মারেন তিনি। শুধু তাই নয়, আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নিরাপত্তা বেষ্টনী পেরিয়ে বিমানের রক্ষণা-বেক্ষণের জায়গায় ঢুকে পড়েন তিনি।

খবর পেয়ে বিমানবন্দরে ছুটে আসে জার্মানির সিএসটি ৯ পুলিশ ফোর্স। দ্রুত গোটা বিমানবন্দর ঘিরে ফেলেন তারা। তাদের সঙ্গে ছিলেন জার্মান পুলিশের একাধিক পদস্থ কর্মকর্তা।

অন্যদিকে ঘটনার পর এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে জার্মান পুলিশ জানায় অভিযুক্তের স্ত্রী তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তিনি পুলিশকে বলেন, তার স্বামী সম্ভবত কোনও শিশুকে অপহরণ করতে চলেছে।

এহেন পরিস্থিতিতে প্রশ্নের মুখে পড়েছে জার্মান প্রশাসন। অভিযুক্তের স্ত্রীর থেকে আগাম সতর্কবার্তা পেয়েও কেন ব্যবস্থা নেওয়া হল না? অপহৃত শিশুকে সঙ্গে নিয়েই কি বিমানবন্দরে ঢুকেছে অভিযুক্ত? বিমানবন্দরে ঢোকার মুখে কেন তাকে আটকাতে ব্যর্থ হলেন নিরাপত্তারক্ষীরা?

জার্মান প্রশাসনের তরফে হতাহতের কোনও খবর দেওয়া হয়নি। ঘটনার চেরে চরম ভোগান্তির মুখে পড়েন যাত্রীরা। বিমানবন্দরের তরফে তাদের এয়ারলাইন্সগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়।

অভিযুক্তের গাড়িতে একটি নয়, দু’টি শিশু ছিল। সরকারিভাবে যা স্বীকার করেনি জার্মান প্রশাসন। পাশাপাশি বিমানবন্দরে গুলি চলার বিষয়েও মুখে কুলুপ এঁটেছেন তারা। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news