আফ্রিকাকে ইউরোপ-আমেরিকার প্রভাবমুক্ত করার পরিকল্পনায় অনেকটা সফল পুতিন: পাউলিন বাক্স

ভূরাজনৈতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্রাইসিস গ্রুপের বিশেষজ্ঞ পাউলিন বাক্স বলেন, রাশিয়ার মন্ত্রী, রাশিয়ার সামরিক ও গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়মিত সব যায়গায় দেখা যাচ্ছে। তারাা মালি, বুরকিনা ফাসোতে যাবার পাশাপাশি আফ্রিকান নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ  রাখছে।’

গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইস্টার্ন সার্কেলসের বিশেষজ্ঞ ইয়ান পিররে বলেন, ‘রাশিয়ার ভাড়াটে যোদ্ধা দলের নেতা প্রিগোজিন মৃত্যুবরণ করলেও রুশদের অবকাঠামো সেখানে (আফ্রিকায়) সাঁজানো রয়েছে।’

বিশেষজ্ঞদের মতে আফ্রিকাকে ইউরোপ-আমেরিকার মুক্তকরতে ভিন্ন যে পথ দেখাচ্ছে রাশিয়া সেটা ভালভাবেই গ্রহণ করছে আফ্রিকান নেতারা।

ইয়ান পিররে বলেন ‘রাশিয়া মূলত ফ্রান্সকে মূল লক্ষ্য হিসেবে ধরেছে। ফ্রান্স কলোনিগুলোতে তারা বিস্ময়কর সাফল্য পেয়েছে। তিনি আরও বলেন, তারা (রাশিয়া) কোন বিনিয়োগ  ও সাহায্য ছাড়াই আফ্রিকায় সফল হচ্ছে।’

বিশ্লেষকদের মতে রাশিয়া আফ্রিকার তরুণ নেতৃত্বকে সমর্থন করে যাচ্ছে। তারা মানবাধিকার লঙ্ঘিত করলেও কোন জবাবদিহিতার প্রশ্ন নেই রাশিয়ার কাছে।

ফরাসীরা ঔপনিবেশিক শাসন শেষ হওয়ার পরও সাবেক উপনিবেশগুলোতে শক্ত অবস্থানে ছিল তারা। রাশিয়ার ভূমিকায় আফ্রিকার দেশগুলোতে বিভিন্ন ইস্যুতে থাকা ফরাসী সেনাবাহিনী  আফ্রিকা ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে।    

বিগদ কয়েক দশকে আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলের দেশগুলোতে যে ২৭টি সেনা অভ্যুত্থান হয়েছে তার ৭৮ শতাংশই হয়েছে সাবেক ফরাসী উপনিবেশগুলোতে।

সাম্প্রতিক প্রায় সব অভ্যুত্থানে রাশিয়ার প্রভাব দেখা যাচ্ছে। মালির সামরিক অভ্যুত্থানের পর কর্নেল আবুলায়ে মাইগা গত বছর সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। এরপরই তিনি বলেন, ‘ফ্রান্স সার্বজনীন নৈতিক মূল্যবোধ বর্জন করেছে’ এবং মালির ‘পিঠে ছুরি মেরেছে।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি’

news