ভগ্নপ্রায় দশায় ওজোন স্তর
আনাদোলুকে দেয়া এক বিশেষজ্ঞের বক্তব্য অনুযায়ী, অ্যান্টার্কটিক অঞ্চলের ওজোন স্তরে রেকর্ড হওয়া একটি গহ্বরের আকার ব্রাজিলের আয়তনের তিনগুণ। ধারণা করা হচ্ছে, এটি এ পর্যন্ত ওজোন স্তরে তৈরি হওয়া বৃহত্তম গহ্বর।
পৃথিবীর জন্য ওজোন স্তর একটি প্রাকৃতিক ঢাল। এটি ক্ষতিকারক সৌর বিকিরণ, বিশেষত অতিবেগুনি (ইউভি) রশ্মিকে দক্ষতার সাথে ফিল্টার করে।
পৃথিবীর ঘূর্ণন এবং তাপমাত্রার পার্থক্য ও অ্যান্টার্কটিকার চারপাশের শক্তিশালী বায়ু ব্যান্ডের প্রভাবে প্রতিনিয়ত এই গহ্বরের আকার পরিবর্তন হচ্ছে। বায়ু ব্যান্ডটি মূলত একটি বাধা হিসাবে কাজ করে, এটি মেরু অক্ষাংশে বায়ুর ভরকে নিয়ন্ত্রণ করে।
আনাদোলুর প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, স্যাটেলাইট ও স্পেকট্রোমিটার সহ বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি ওজোন স্তরের পর্যবেক্ষণ করলেও, ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন, বায়ুমণ্ডল এবং মহাসাগরীয় বিজ্ঞানের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক প্যারিসা আরিয়া মনে করেন, মানুষ সৃষ্ট দূষণ থেকে তৈরি হ্যালোজেনেটেড অণু ওজোন স্তরের উল্লেখযোগ্য হ্রাস ঘটিয়েছে। এটি মানুষের স্বাস্থ্য এবং পরিবেশের জন্য ঝুঁকি তৈরি করছে। তাছাড়া ‘গ্রিনহাউস গ্যাস’ তাপ আটকে জলবায়ু পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
১৯৮৭ সালে মন্ট্রিল প্রোটোকল স্বাক্ষরের পর ওজন স্তর ধ্বংসকারী ক্লোরোফ্লুরোকার্বন ব্যবহার নিষিদ্ধ হলেও অন্যান্য শিল্প বর্জ্য নিঃসরণ চলমান রয়েছে যা নিষিদ্ধ না হলে আগামী পৃথিবীতে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হবে। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি


