লোহিত সাগর উত্তেজনায় তেলের দাম বাড়ার আশঙ্কা

 ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের ক্রমবর্ধমান হামলার কারণে কিছু আন্তর্জাতিক কোম্পানি উল্লেখিত অঞ্চলে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। যে কারণে বিশ্বজুড়ে এই সতর্কবার্তা দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা। 

মঙ্গলবার বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম শিপিং লাইন মারস্ক বলে, আফ্রিকার কেপ অব গুড হোপের আশপাশ দিয়ে কিছু জাহাজকে পুনরায় চলাচলের ব্যবস্থা করবে প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া সোমবার বৈশ্বিক তেল জায়ান্ট বিপি এ অঞ্চল দিয়ে সব ধরনের অপরিশোধিত তেলের চালান সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়। তবে বিপির প্রতিদ্বন্দ্বী আরেক জায়ান্ট শেল অয়েল লোহিত সাগরের পরিস্থিতি নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেনি। 

আনাদুলুর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিকল্প রুট কেপ অব গুড হোপ দিয়ে জাহাজ চলাচল করলে, অতিরিক্ত প্রায় সাড়ে তিন হাজার নটিক্যাল মাইল পথ পাড়ি দিতে হবে। সেক্ষেত্রে শিপিং খরচ অনেকটাই বেড়ে যায় যা তেলের দামের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। সে অনুযায়ী, সোমবার বিশ্ববাজারে তেলের দাম এক শতাংশ বেড়েছে। তবে মঙ্গলবার বেঞ্চমার্ক ব্রেন্ট ক্রুডের দাম প্রতি ব্যারেল বেড়ে ৭৮ ডলারের কাছাকাছি হয়েছে।

এ বিষয়ে শিপিংবিষয়ক সংবাদপত্র লয়েডস লিস্টের প্রধান সম্পাদক রিচার্ড মিড বিবিসি রেডিওকে বলেন, পরিবহনের নতুন রুট নির্ধারণ করা হলে তা তেল ছাড়াও অন্যান্য পণ্যসামগ্রীর ওপর প্রভাব ফেলবে। বৈশ্বিক বাণিজ্যের প্রায় ১২ শতাংশ তেল ও পণ্যসামগ্রী লোহিত সাগরের মাধ্যমে পরিবহন করা হয়। যা বার্ষিক এক ট্রিলিয়ন ডলার মূল্যের সমান।

এরই মধ্যে লোহিত সাগর রুটে চলাচলকারী জাহাজের সুরক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, বাহরাইন, নরওয়ে এবং স্পেন মিলে আন্তর্জাতিক নৌ অভিযান শুরু করেছে।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news