মার্কিন ও ইউরোপে শিক্ষার্থীদের ইসরায়েলবিরোধী আন্দোলনে ইরানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমর্থন
রোববার ইরানজুড়ে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জোহরের নামাজের পর নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে সমবেত হয়ে এই সমর্থন ঘোষণা করেন। পশ্চিমা দেশগুলোতে ‘গাজার প্রতি সংহতি’ জানিয়ে যে আন্দোলন হচ্ছে মূলত ইরানি শিক্ষার্থীরা তার প্রতি পূর্ণ সমর্থন ও সংহতি ঘোষণা করেন।
ইরানের বিশ্ববিদ্যালগুলোর ছাত্র-শিক্ষকরা যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি সমর্থন জানাতে ইহুদিবাদবিরোধী ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী স্লোগান দেন।
ইরানের বিজ্ঞান, গবেষণা ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী মোহাম্মাদ আলী জোলফিগোল বলেছেন, সারাবিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে ইসরায়েলি গণহত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ায় বোঝা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় সমাজের বিবেক এখনও বেঁচে আছে। তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সব সময় জুলুম ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে।
তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল প্রবেশ ফটকের সামনে বিভিন্ন ব্যানার টাঙ্গিয়ে ফিলিস্তিনবাসীর প্রতি নিজের সমর্থন ঘোষণার পাশাপাশি ইহুদিবাদী ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে টানানো ব্যানারে ইংরেজি ভাষায় যা লেখা হয়েছে তার সারমর্ম এরকম: ‘তেহরান ও নিউ ইয়র্কের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিচ্ছেন: নদী থেকে সাগর পর্যন্ত ফিলিস্তিন স্বাধীন হবে।’
ইরানের বিজ্ঞান, গবেষণা ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মাহদি বাদেপা জানিয়েছেন, ইরানের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলরগণ যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কাছে ইমেইল পাঠিয়েছেন। তিনি বলেন, অবৈধ রাষ্ট্র ইহুদিবাদী ইসরায়েল প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ইতিহাসে এই প্রথমবার যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসরায়েলবিরোধী আন্দোলন তুঙ্গে উঠেছে।
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের নজিরবিহীন বিক্ষোভ দ্রুত বেগে ছড়িয়ে পড়েছে। নতুন করে আরও ২০টির মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ায় কর্তৃপক্ষ ব্যাপক হারে ধরপাকড় চালাচ্ছে। এক দিনে আরও ২০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি