এইচআইভি, যক্ষা, ক্যান্সার, মাদকাসক্ত নিয়েই যুদ্ধে যোগ দিচ্ছে ইউক্রেনীয়রা

মস্কো দাবি করেছে ইউক্রেনের ১ লাখ ১১ হাজার সেনা রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে মারা গেছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগু এ বছরের শুরু থেকে ইউক্রেনের লক্ষাধিক সেনা নিহত হবার পাশাপাশি ৫৪৭ বর্গকিমি ভূমি পুনরুদ্ধারের দাবি করেছেন। 

পরিস্থিতি অনেকটা মিলে যায় এইচআইভি, যক্ষা, ক্যান্সার ও মাদকসক্তদের চিকিৎসার পরিবর্তে তাদের ইউক্রেনের সেনাবাহিনীতে যুদ্ধে পাঠানোর সিদ্ধান্তের মধ্যে। আক্রান্ত ইউক্রেনীয়রা সেনাবাহিনীতে কাজ করবে। তাদের চিকিৎসার চেয়ে যুদ্ধে যাওয়া জরুরি।

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত নতুন খসড়া নিয়ম অনুসারে এইচআইভি, যক্ষ্মা এবং ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের পাশাপাশি কিছু মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের সশস্ত্র বাহিনীতে কাজ করতে বাধ্য করা হবে। সামরিক কর্মকর্তারা সিদ্ধান্ত নেবেন তারা যুদ্ধের ময়দানে সামনের সারিতে নাকি পিছনের কম চাহিদাপূর্ণ কাজ করবেন।

কিন্তু যক্ষ্মা রোগীরা যুদ্ধে গেলে তাদের মাধ্যমে যাতে অন্য সেনা সক্রিয় সংক্রমণের শিকার না হয় এজন্যে এসব অসুস্থ ব্যক্তিদের ছয় মাসের মধ্যে একটি নতুন পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখা হবে। 

রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী শোইগু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের পক্ষে ক্রমাগত যুদ্ধের ব্যয়কে উপেক্ষা করার জন্য কিয়েভকে চাপ দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত করেছেন।

শোইগু দাবি করেছেন যে ইউক্রেনীয়রা যুদ্ধ করতে ইচ্ছুক নয়। তাদের বাধ্য করা হচ্ছে এবং নিশ্চিত মৃত্যুর পরিণতি তারা জানে। রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিয়েভের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অব্যাহত পশ্চিমা আর্থিক ও সামরিক সহায়তার জন্য নাগরিকদের বলিদানের জন্য অভিযুক্ত করেছেন।

এসব ইউক্রেনীয়দের হতাহত হওয়ার পাশাপাশি, রুশ বাহিনী ইউক্রেনের ২১ হাজার ভারী অস্ত্রও ধ্বংস করেছে বলে শোইগু দাবি করেছেন। তার দাবি ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার সাথে শত্রুতা শুরু হওয়ার পর থেকে ইউক্রেনের হতাহতের সংখ্যা ৫ লাখের কাছাকাছি। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news