কুখ্যাত মানব পাচারকারী ‘স্করপিয়ন’ গ্রেপ্তার

 ইউরোপের কুখ্যাত মানব পাচারকারী বারজান মাজিদকে রোববার সকালে ইরাকের কুর্দিস্তান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। একজন সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তা এ কথা জানিয়েছেন।

সম্প্রতি বিবিসি একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়, কয়েক বছর ধরে বারজান মাজিদ ও তার চক্র ইংলিশ চ্যানেলে নৌকা ও লরি দিয়ে মানব পাচার কাজে ঘণিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলেন। কুর্দিস্তানের সোলায়মানিয়া শহরে বারজানের খোঁজ পায় বিবিসি। তিনি স্করপিয়ন নামেও পরিচিত।

যুক্তরাজ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশের পুলিশের ‘ফেরারির’ তালিকায় বারজানের নাম রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সিও (এনসিএ) তার গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। যুক্তরাজ্যের পুলিশ কর্মকর্তারা যখন অবৈধ অভিবাসীদের আটক করেন, তখন তাদের মুঠোফোনগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখেন। ২০১৬ সালের পর থেকে সন্দেহজনক একটি নম্বরই বারবার সামনে আসছিল।
ওই মুঠোফোনগুলোয় নম্বরটি স্করপিয়ন নামে রাখা ছিল। কখনো কখনো একটি কাঁকড়াবিছার ছবি দিয়েও নম্বরটি সেভ করা ছিল। মার্টিন ক্লার্ক নামের যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সির একজন সিনিয়র তদন্তকারী কর্মকর্তাস্করপিয়ন কে তা সনাক্ত করেন। তদন্তের একপর্যায়ে বোঝা যায়, স্করপিয়ন আসলে বারজান মাজিদ নামের একজন ইরাকি কুর্দি।

মাজিদ কিন্তু নিজেই পাচারের শিকার হয়েছিলেন। সে ২০০৬ সালের ঘটনা। তখন তার বয়স ২০ বছর। একটি লরিতে করে তাকে যুক্তরাজ্যে পাঠানো হয়েছিল। তবে এক বছর পর তাকে দেশটি ছেড়ে যেতে বলা হয়। যদিও আরও কয়েক বছর যুক্তরাজ্যে থেকে গিয়েছিলেন তিনি। এরপর ২০১৫ সালে মাজিদকে ইরাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

পরে মানব পাচারের জগতে পা রাখেন তিনি। স্করপিয়ন নামে তাঁর পরিচিত বাড়ে। ধারণা করা হয়, বড় ভাইয়ের হাত ধরেই এ অপরাধে জড়িয়েছিলেন তিনি। তাঁর বড় ভাই তখন বেলজিয়ামের কারাগারে সাজা খাটছেন।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news