ধূমপান কমাতে অত্যাশ্চর্য এই পদক্ষেপ করছে কানাডা! বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে গড়বে নজির
সিগারেট, বিড়ি, গুটখা ইত্যাদি তামাকজাত পদার্থ শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। সিগারেটের প্যাকেটে, কিংবা সিনেমা হলে, বা কোন অনুষ্ঠানে বারবার সিগারেট নিয়ে সচেতন করা হয় মানুষকে। কিন্তু সিগারেটের প্যাকেটে থাকা সেই সতর্কবার্তা ধূমপায়ীদের চোখে সয়ে গেছে। তাই দেশের মানুষের মধ্যে ধূমপান বিরূপ মানসিকতা তৈরি করতে এবার নতুন পথে হাঁটতে চলছে কানাডা সরকার (Cigarette Warning)। সচেতনতা প্রচার বাড়াতেই এই পদক্ষেপ।
কিন্তু কীভাবে এই সচেতনতা মানুষের মনের মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া যায় সেই ভাবনা চিন্তা বেশ কয়েকদিন ধরেই চলছিল ওই দেশের সরকারের মধ্যে। অবশেষে নতুন রাস্তায় হাঁটা শুরু করার কথা স্থির করেছে কানাডিয়ান সরকার। কী সেই পথ? এবার থেকে শুধু সিগারেটের প্যাকেটে নয়, প্রতিটি সিগারেটের গায়ে লেখা থাকবে সতর্ক বার্তা।
যদি এই পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হয়, তবে কানাডা বিশ্বের মধ্যে প্রথম দেশ হবে যারা সিগারেটের গায়ে এমনভাবে সতর্ক বার্তা লিখবে। সিগারেটের প্যাকেটে স্বাস্থ্য সতর্কতা থাকলেও আশানুরূপ ফল না পেয়ে প্রতিটি সিগারেটের গায়ে সতর্কবার্তা জুড়ে দেওয়ার কথা ভাবছে কানাডা সরকার (Canda)।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, এই বিষয় নিয়ে দেশের প্রতিটি সিগারেট প্রস্তুতকারক সংস্থার সঙ্গে কথা বলবে সরকার। কীভাবে প্রতিটি সিগারেটের গায়ে এই স্বাস্থ্য সতর্কতা ছাপানো যায় তাই নিয়ে আলোচনা করার পরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মানসিক স্বাস্থ্য ও আসক্তি বিষয়ক মন্ত্রী ক্যারোলিন বেনেট জানান যে, মানুষ দীর্ঘদিন ধরে সিগারেটের প্যাকেটের (Cigarette Packet) গায়ে থাকা ছবি ও সতর্ক বার্তা দেখতে দেখতে অভ্যস্থ হয়ে গেছেন। তাই এমন কথা ভাবা হচ্ছে।
২০০১ সালে কানাডায় প্রথম সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে এমন সতর্কবার্তা ছাপানোর মাধ্যমে প্রচার শুরু করে। এই প্রচার থেকে যেমন সাড়া মিলবে আশা করা গিয়েছিল কুড়ি বছর কেটে গেলেও তেমন সাড়া মেলেনি। ফলে নতুন পথ খুঁজতেই হত।
কানডার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জিন-ইভেস ডুকলোস বলেন, নতুন কৌশলের মাধ্যমে আমরা ২০৩৫ সালের মধ্যে তামাক ব্যবহার ১৩ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশে নিয়ে আসার জন্য কাজ করছি।।খবর দ্য ওয়ালের /এনবিএস/২০২২/একে


