কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন বাড়ানোর কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র

শুক্রবার হোয়াইট হাউসের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা এ কথা জানিয়েছেন। রাশিয়া ও চীনসহ অন্য প্রতিপক্ষদের ক্রমবর্ধমান হুমকি মোকাবিলায় এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছে ওয়াশিংটন। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে অস্ত্র মোতায়েন বাড়াতে হতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। 

দেশটির আর্মস কন্ট্রোল অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের অস্ত্র নিয়ন্ত্রণবিষয়ক শীর্ষ কর্মকর্তা প্রণয় ভাদ্দি দেশটির নীতিগত এ অবস্থানের কথা তুলে ধরেন। অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জনসচেতনতা ও কার্যকর নীতি প্রণয়ন নিয়ে কাজ করছে সংস্থাটি।

অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে ‘আরও বেশি প্রতিযোগিতামূলক পদক্ষেপের’ বিষয়ে প্রণয় ভাদ্দির দেওয়া বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ নীতিতে পরিবর্তনের কথাই প্রকাশ পেয়েছে। অস্ত্রভান্ডার সীমিত রাখার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান থেকে মস্কো ও বেইজিংকে সরিয়ে আনাই এর উদ্দেশ্য বলে মনে করা হচ্ছে।

হোয়াইট হাউসের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের প্রতিপক্ষরা যদি (নিজেদের পারমাণবিক অস্ত্রের মজুত বাড়ানোর বর্তমান নীতিতে) পরিবর্তন না আনে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আমাদেরও (কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রের) মোতায়েন বাড়ানোর প্রয়োজন দেখা দেবে। যদি প্রেসিডেন্ট এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে সেটা বাস্তবায়নের জন্য আমাদের পুরোপুরি প্রস্তুত থাকতে হবে।’

রাশিয়ার সঙ্গে ২০১০ সালে সম্পাদিত ‘নিউ স্টার্ট’ চুক্তি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৫৫০টি কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করতে পারে। যদিও যুদ্ধে ইউক্রেনকে সহায়তা দেওয়ার অভিযোগে গত বছর এই চুক্তি থেকে রাশিয়া নিজেদের সরিয়ে নেয়। মস্কোর এই সিদ্ধান্তকে ‘বেআইনি’ বলে মন্তব্য করেছে ওয়াশিংটন।

আন্তর্জাতিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ও পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধে বাইডেন প্রশাসন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে বলে জানান প্রণয় ভাদ্দি। তবে তিনি অভিযোগ করেন, রাশিয়া, চীন ও উত্তর কোরিয়া দ্রুততার সঙ্গে তাদের পারমাণবিক অস্ত্রের মজুত বাড়াচ্ছে এবং বৈচিত্র্যময় করছে। অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে দেশগুলোর তেমন আগ্রহ নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

প্রণয় ভাদ্দির দাবি, ‘এই তিন দেশ এবং ইরান এমনভাবে পরস্পরের মধ্যে সহযোগিতা ও সমন্বয় বাড়াচ্ছে, যা শান্তি ও স্থিতিশীলতার বিরোধী। এটি যুক্তরাষ্ট্র, আমাদের মিত্র ও অংশীদারতে হুমকিতে ফেলছে এবং আঞ্চলিক উত্তেজনা বাড়াচ্ছে।’ সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news