হামাসকে নির্মূল করা সম্ভব নয়, প্রথমবার স্বীকার করলো ইসরায়েল

ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার দপ্তরবিহীন মন্ত্রী ও প্রতিরক্ষা বাহিনীর সাবেক প্রধান গাদি আইজেনকোট গত বুধবার বলেছেন, হামাস একটি আদর্শ। আর কোনো আদর্শকে নির্মূল করা যায় না। ইসরায়েলি কোনো কর্মকর্তার মুখ থেকে এ ধরনের কথা এটিই প্রথমবার শোনা গেলো। 

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের সাম্প্রতিক আগ্রাসনের প্রধানতম লক্ষ্য ছিল, হামাসকে হারানো। কিন্তু টানা আট মাস ধরে অভিযান চালিয়ে ৩৮ হাজারের বেশি নিরীহ ফিলিস্তিনিকে হত্যার পর এখন তারা বলছে, স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীটিকে নির্মূল করা সম্ভব নয়।

গাদি আইজেনকোট বলেন, ‘ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে সম্পূর্ণভাবে হারানো কোনোভাবেই সম্ভব নয়। হামাসকে পুরোপুরিভাবে পরাজিত করার যে আলোচনা চলছে সেটি কার্যত অবাস্তব।’ এ ছাড়া গাজায় যুদ্ধ পরিচালনার ধরন নিয়েও প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সমালোচনা করেছেন তিনি।

সেই সঙ্গে হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের নিয়েও কথা বলেছেন ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন এই মন্ত্রী। তার মতে, নেতানিয়াহু জিম্মিদের মুক্ত করতে সামরিক চাপ প্রয়োগের কথা বললেও, জিম্মিদের জীবিত ফিরে পেতে হলে হামাসের সঙ্গে চুক্তি করা ছাড়া কোনো উপায় নেই।

গাদি আইজেনকোট আরও জানান, গত ১১ অক্টোবর লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে বড় সামরিক অভিযান শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা। কিন্তু তিনি এবং অপর মন্ত্রী বেনি গান্তজ এ সিদ্ধান্ত থেকে সবাইকে নিবৃত করেন। তিনি বলেন, ওইদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে তারা উপস্থিত থাকায় ইসরায়েল ‘মারাত্মক ভুল’ থেকে বেঁচে গেছে।

আল-জাজিরা জানিয়েছে, সামরিক অভিযানে ইসরায়েল হামাসের প্রতিপত্তি নির্মূলে ব্যর্থ হলেও ডেকে এনেছে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ। গত আট মাসে ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৩৮ হাজার ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। আহত হযেছেন আরও ৮৫ হাজারের বেশি মানুষ।

ইসরায়েলি সম্প্রচারমাধ্যম চ্যানেল ১৩’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, ‘আমরা হামাসকে নির্মূল করতে যাচ্ছি, এটি হলো মানুষের চোখে ধুলো দেওয়া। আমরা বিকল্প ব্যবস্থা দিতে না পারলে হামাস শেষ পর্যন্ত টিকে থাকবে। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি 

news