ভারতে এই প্রথম স্পিকার পদে সরকার ও বিরোধী জোটের লড়াই
কংগ্রেসের কে সুরেশ বিরোধী জোটের স্পিকার প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন মঙ্গলবার।
আনন্দবাজার জানায়, তিনি যদি মনোনয়ন প্রত্যাহার না করেন, তবে বুধবার লোকসভার স্পিকার নির্বাচনের জন্য ভোট হবে। আর তা যদি হয়, তবে ভারতে এই প্রথম লোকসভায় ভোটের মাধ্যমে স্পিকার নির্বাচন হবে। কারণ ইতিহাস বলছে এতদিন সাধারণত লোকসভা স্পিকার নির্বাচিত হয়েছেন বিরোধিতা ছাড়াই।
লোকসভার স্পিকার নির্বাচন নিয়ে বিরোধীদের কাছে গিয়েছিলেন রাজনাথ সিংহ, কিন্তু তিনি তাঁর দেওয়া কথা রাখেননি বলে মঙ্গলবার অভিযোগ করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
স্পিকার নির্বাচনে বিরোধীদের সমর্থন চেয়ে সোমবার কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গরে সঙ্গে কথা বলেন রাজনাথ।
খড়্গে তাঁকে বলেছিলেন তিনি ‘ইন্ডিয়া’র বাকি শরিকদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি জানাবেন। এর পরে মমতা, অখিলেশ, স্তালিন-সহ বিরোধীদের সমস্ত নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন খড়্গ।
পরবর্তীতে রাজনাথকে জানান, ডেপুটি স্পিকারের পদটি যদি ইন্ডিয়ার কোনও প্রতিনিধিকে দেওয়া হয়। তবে তাঁরা স্পিকারকে সমর্থন করবেন।
রাজনাথ এই শর্ত শুনে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গেেক জানিয়েছিলেন, তিনি বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার মনোনয়ন পর্বের আগেই আবার কথা বলবেন। এবং জানাবেন, বিরোধীদের শর্ত মানা হচ্ছে কি না। কিন্তু রাহুলের বক্তব্য, রাজনাথ কথা রাখেননি। বিরোধীদের সঙ্গে আর কোনওরকম যোগাযোগ করেননি তিনি। সরকার বিরোধীদের শর্ত মেনে নিচ্ছে কি না তা-ও জানায়নি। অগত্যা কংগ্রেস তাদের কথা থেকেও সরে আসতে বাধ্য হয়েছে। রাহুল জানান, স্পিকারকে সমর্থন করার সিদ্ধান্তই নিয়েছিল ‘ইন্ডিয়া’। তবে এখন তারা পাল্টা লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ঐতিহ্য অনুযায়ী ডেপুটি স্পিকারের পদটির দাবিদার বরাবরই ছিল বিরোধীরা। কিন্তু ২০১৪ সালের পর থেকে তা হয়নি। ২০১৪ সালে বিজেপির সরকার উপধ্যক্ষ বা ডেপুটি স্পিকারের পদ দিয়েছিল, তাদের জোট সঙ্গী এআইএডিএমকের এম থাম্বি দুরাইকে। ২০১৯ সালে ফাঁকাই ছিল এই পদ। ওই দু’বছরই বিরোধীরা দুর্বল ছিল লোকসভায়। কোনও বিরোধী দলনেতাও ছিল না। নেতা ছিল না লোকসভায়।
কিন্তু এ বার কংগ্রেস একা ৯৯টি আসন পেয়েছে। বিরোধীরাও ভাল ফল করেছে এ বারের লোকসভা ভোটে। তাই এই পদটির জন্য এ বার জোরালো দাবি পেশ করে ‘ইন্ডিয়া’। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি


