থাইল্যান্ড থেকে অস্ত্র কেনার বিষয়ে জাতিসংঘ রিপোর্টের প্রতিবাদ মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের
শনিবার জান্তা নিয়ন্ত্রিত সংবাদপত্রে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে মিয়ানমারের সেন্ট্রাল ব্যাংক জানিয়েছে, জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদনে আমরা তীব্র আপত্তি প্রকাশ করছি। জাতিসংঘের প্রতিবেদন মিয়ানমারের বেসামরিক নাগরিকদের স্বার্থ ও অন্যান্য দেশের সঙ্গে সম্পর্কের মারাত্মক ক্ষতি করে।
মিয়ানমারের মানবাধিকার বিষয়ক র্যাপোর্টার, টম অ্যান্ড্রুস বুধবার রিপোর্ট করেছেন যে জান্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও তারা ২৫৩ মিলিয়ন ডলার মূল্যের অস্ত্রসহ আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম আমদানি করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমারের এ অস্ত্র ক্রয়ের জন্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রতিবেশী থাইল্যান্ডসহ আন্তর্জাতিক ব্যাংকের সহায়তা রয়েছে।
২০২১ সালে নোবেল বিজয়ী অং সান সুচির সরকারের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের পর থেকে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি জান্তা সরকার।
মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, আর্থিক লেনদেনগুলো শুধুমাত্র মিয়ানমারের বেসামরিক নাগরিকদের জন্য প্রয়োজনীয় পণ্য যেমন ওষুধ ও চিকিৎসা সরবরাহ, কৃষি ও পশুসম্পদ সরবরাহ, সার, ভোজ্য তেল এবং জ্বালানী আমদানির জন্য করা হচ্ছে।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে সিঙ্গাপুর থেকে রপ্তানি ২০২২ সালে ১১০ মিলিয়ন ডলারের থেকে মাত্র ১০ মিলিয়ন ডলারে নেমে গেছে তবে থাইল্যান্ডের কোম্পানিগুলো আংশিকভাবে শূন্যস্থান পূরণ করেছে, ২০২৩ সালে ১২০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের অস্ত্র ও উপকরণ স্থানান্তর করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় দ্বিগুণ।
থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, দেশের ব্যাঙ্কিং এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো অন্যান্য বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মতো প্রোটোকল অনুসরণ করে। সরকার জাতিসংঘের প্রতিবেদকের প্রতিবেদনটি খতিয়ে দেখবে। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি


