কেনিয়ায় আন্দোলনে ৩৯ জন নিহত

সরকারের করনীতির প্রতিবাদে পূর্ব আফ্রিকার দেশ কেনিয়ায় তীব্র আন্দোলন চলছে। গত ১৮ জুন থেকে শুরু হওয়া আন্দোলনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩৯ জন, আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩৬১ জন।  

১৮ জুন শুরু হলেও গত এক সপ্তাহ আন্দোলনে মাত্রা রূপ নিয়েছে। আন্দোলন ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৬২৭ জনকে। এছাড়া এখনও নিখোঁজ আছেন অন্তত ৩২ জন।

কেনিয়ার মানবাধিকার সংস্থা দ্য কেনিয়া ন্যাশনাল কমিশন অন হিউম্যান রাইটস (কেএনসিএইচআর)  এ তথ্য নিশ্চত করে বলেছে, দেশটির তরুণ প্রজন্ম আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। 

গত মঙ্গলবার প্রায় সব ধরনের পণ্যের ওপর কর বৃদ্ধিসংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পাস হয় কেনিয়ার পার্লামেন্টে। প্রস্তাবটি পাসের সঙ্গে সঙ্গেই পার্লামেন্ট চত্বরসহ পুরো নাইরোবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। আন্দোলনকারীরা পার্লামেন্ট চত্বরের একটি পুলিশ বক্সে আগুন ধরিয়ে দেন, বিক্ষুব্ধ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে গুলি শুরু করে পুলিশ।

আন্দোলনকারীরা প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটোর পদত্যাগ দাবি করছে। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরের নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতাসীন হয়েছেন রুটো। সেই নির্বাচনের পর থেকেই কেনিয়ায় দিন দিন রাজনৈতিক বিভক্তি তীব্র হয়ে উঠেছে।

রোববার কেনিয়ার সরকারি টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন উইলিয়াম রুটো। সেখানে তিনি বলেছেন, আন্দোলনে এ পর্যন্ত ১৯ জন নিহত হয়েছেন। তবে তাদের মৃত্যুর জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দায়ী নয়, নিজেদের মধ্যে সংঘাত ও বিশৃঙ্খলার কারণে প্রাণ হারিয়েছেন তারা।

ভাষণে রুটো আরও বলেছেন, আপাতত নিকট ভবিষ্যতে পদত্যাগ করার কোনো প্রকার ইচ্ছা বা পরিকল্পনা তার নেই। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি 

news