নেপালে রাজনৈতিক সংকট : পতনের মুখে দাহালের সরকার 

নেপালের জোট সরকারের অন্যতম প্রধান শরীক দল ইউএমএল প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কামাল দাহাল সরকারের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নিয়েছে। গত বুধবার দলটি এ ঘোষণা দেয়। জোট সরকারে থাকা তাদের আটজন মন্ত্রীও পদত্যাগ করেছেন। 
দলটির এক নেতা বলেছেন, ইউএমএল একটি জাতীয় ঐক্য সরকার গঠনের লক্ষ্যে বর্তমান জোট সরকারের উপর থেকে তাদের সমর্থন প্রত্যাহার করে নিচ্ছে।  ইউএমএল দাহালের পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছে। তবে পদত্যাগ করবেন না পুষ্প দাহাল। এর বদলে তিনি সংসদে আস্থা ভোট মোকাবেলা করবেন বলে জানান।

জোট সরকারের সবচেয়ে বড় জোট দল সমর্থন প্রত্যাহার করে নেওয়ায় পুষ্প দাহালের সিপিএন সংসদে এখন সংখ্যালঘু দলে পরিণত হয়েছে। 
গত ২০ মে প্রধানমন্ত্রী পুষ্প দাহাল যখন আস্থাভোটের আয়োজন করেন তখন তিনি সংসদের ২৭৫টি ভোটের মধ্যে ১৫৭টি ভোট পান। যার মধ্যে ইউএমএলের ভোট ছিল ৭৭টি। আর প্রধানমন্ত্রীর দল সিপিএনের ছিল মাত্র ৩২টি ভোট।

শরীক দল সমর্থন প্রত্যাহার করে নেওয়ায় ক্ষমতায় থাকতে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে সংসদে আস্থাভোট আয়োজন করতে হবে প্রধানমন্ত্রী পুষ্প দাহালকে। কিন্তু বর্তমান রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ অনুযায়ী তিনি এই ভোটে জয় পাবেন না।

চলতি বছরের মার্চে ইউএমএলের সঙ্গে জোট বাধেন পুষ্প দাহাল। এর আগে কংগ্রেসের সঙ্গে তার জোট ছিল। কিন্তু পুরোনো বন্ধুর হাত ছেড়ে ইউএমএলের হাত ধরেছিলেন তিনি। মঙ্গলবার ইউএমএল আনুষ্ঠানিকভাবে পুষ্প দাহালকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানায়। যাতে নতুন সরকার গঠন করতে পারে।

এর আগে সোমবার ইউএমএল এবং কংগ্রেস নতুন সরকার গঠনে নিজেদের মধ্যে একটি চুক্তিতে পৌঁছায়। চুক্তি অনুযায়ী, কংগ্রেস নেতা কেপি শর্মা ওলি নতুন ‘জাতীয় ঐক্য সরকার’-এর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেড় বছর দায়িত্ব পালন করবেন। সরকারের বাকি সময়টায় প্রধানমন্ত্রী হবেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দিউবা। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি 

news